Poush Mela 2023: তিন বছর পরে অবশেষে শান্তিনিকেতনে সূচনা মহর্ষির পৌষমেলার...
Poush Mela 2023: রবিবার ভোর হতেই শান্তিনিকেতন গৃহ থেকে ভেসে এল সানাইয়ের সুর। তারপর ছাতিমতলায় উপাসনা। সকালের উপাসনায় অংশ নেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য। শুরু হয়ে গেল পৌষমেলা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'মোরে ডাকি লয়ে যাও মুক্ত দ্বারে' গানে বৈতালিক এবং উপাসনার মধ্যে দিয়ে শান্তিনিকেতনে শুরু হল ১২৫তম পৌষমেলা। রবিবার ভোর হতেই শান্তিনিকেতন গৃহ থেকে ভেসে আসে সানাইয়ের সুর। তার পরেই ছাতিমতলায় উপাসনা। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ উপাসনায় অংশ নেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জীবকুমার মল্লিক।
আরও পড়ুন: Lokkho Konthe Gita Path: ময়দানে শুরু হল লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ...
ইতিহাস বলছে, ১৮৯৪ সালে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর জ্যেষ্ঠপুত্র দ্বিজেন্দ্রনাথ ও কনিষ্ঠপুত্র রবীন্দ্রনাথকে সঙ্গে নিয়ে ৭ পৌষ উপাসনা গৃহের উদ্বোধন করেন। সেই উপলক্ষে কাচঘর-সংলগ্ন মাঠে বসে একদিনের একটি মেলাও। সেই মেলাই কালক্রমে ঐতিহ্যবাহী এই পৌষমেলা। তখন বিদ্যুতের আলো ছিল না। তাই দিনের বেলাতেই সারা হত সমস্ত অনুষ্ঠান।
১৮৯৪ থেকে ১৯২১-- এই পৌষমেলা হত একদিনের। ১৯২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হওয়ার পর থেকে এবং ১৯৬১ সাল অর্থাৎ, রবীন্দ্রনাথের জন্মশতবর্ষ পর্যন্ত এই মেলা হত দু'দিনের। কলেবরবৃদ্ধি হওয়ার সেই সময় থেকে মেলা পূর্বপল্লির মাঠে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৯৬১ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মূল মেলা ছিল তিন দিনের। পরে ভাঙা মেলা থাকত আরও বেশ কয়েক দিন ধরে। ২০১৬ সালে পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে তিনদিনের মেলা শেষ হতেই মাঠ খালি করে দেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এ বার সেই মেলায় চারদিনের ছাড়পত্র মিলেছে।
তবে এবছর পৌষ মেলার আয়োজন করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে প্রথমেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল সময়সীমা কম থাকায় তারা পৌষ মেলা আয়োজন করতে পারবে না। আয়োজনে না থাকলেও পৌষ উৎসবে সামিল হচ্ছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। আজ, রবিবার ভার্চুয়ালি পৌষ মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, তার আগেই সকলের প্রিয় এই মেলা মন টেনেছে মানুষের।
আরও পড়ুন: Bengal Weather Today: বঙ্গোপসাগরে ফের ঘূর্ণাবর্ত! শীতের স্পেলে সাময়িক বিরতি বাংলায়?
বিশ্বভারতীর পৌষ উৎসবে সাধারণ মানুষ গত তিন বছর ধরে শামিল হতে পারেনি। তবে সংশ্লিষ্ট মহসের দাবি, এ বছর বিদ্যুৎ চক্রবর্তী উপাচার্যের পদ থেকে সরে যাওয়ার পরে বিশ্বভারতীর আবহাওয়ার বদল ঘটেছে। আজ বিশ্বভারতীর সকালের ছাতিম তলায় এই উপাসনায় অংশগ্রহণ করতে পেরেছেন শিক্ষক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সকলেই।