Poush Mela Santiniketan: পৌষ মেলা কি এবার হবে না শান্তিনিকেতনে? দেখুন কী জানা যাচ্ছে...
Poush Mela Santiniketan: শান্তিনিকেতনের পৌষমেলার আয়োজন করতে সাধারণত প্রায় দু`মাস আগে থেকে প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। কিন্তু এবার এখনও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে তেমন কোনও সাড়া মেলেনি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শান্তিনিকেতনের পৌষমেলার আয়োজন করতে সাধারণত প্রায় দু'মাস আগে থেকে প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। কিন্তু এবার এখনও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে তেমন কোনও সাড়া মেলেনি। এবার কি মেলা হবে না?
আরও পড়ুন; Annual Tiger Census in Sunderbans: সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা কত, জানেন? এবার জানা যাবে...
জানা গিয়েছে, শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লির মাঠে পৌষমেলা নিয়ে এবারে সম্ভাবনা তৈরি হওয়ার মাঝেই আজ, মঙ্গলবার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হল। সেই বৈঠকে উঠে এল নানা প্রসঙ্গ। যেমন-- মেলার প্রস্তুতির জন্য হাতে এখন অল্প সময় রয়েছে, এই সময়ের মধ্যে চাইলেও মেলার আয়োজন করা সম্ভব হবে কি? তা ছাড়া বড় কথা হল-- মেলার সামগ্রিক পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে আরও নানা সমস্যা।
ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এ মেলায় ভিড় জমান। ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় দু'হাজারের বেশি স্টল হয় এ মেলায়। কিন্তু, মেলা করার জন্য যে উপযুক্ত পরিকাঠামো দরকার সেটা এবার এখনও দূরঅস্ত। মেলার আয়োজন নিয়েও চলছে নানা টালবাহানা। হাতে আর মাত্র কয়েকটি দিন। এ মেলার আয়োজন করতে হলে প্রায় দুমাস আগে থেকে প্রস্তুতি শুরু করতে হয়, এবং সেটাই হয়ে থাকে। কিন্তু এবার এখনও কোনও কাজই এগোয়নি।
এখনও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে প্রশাসনিক বৈঠক-সহ সামগ্রিক বৈঠক নিয়েও কোনও সাড়া মেলেনি। ফলে, আর্থিক সংকটের দুশ্চিন্তায় স্থানীয় ব্যবসায়ী, হস্তশিল্পী ও লোকশিল্পীরা। যদিও শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার বলেন, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ পৌষমেলা সম্পর্কিত বৈঠক হয়েছে। মেলা আয়োজন করার সদিচ্ছা রয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষেরও। হাতে সময় খুব অল্প। মেলা করতে গেলে অল্প সময়ের এই প্রতিবন্ধকতার মধ্যেই মেলার স্টলের অনলাইন বুকিংও চালু করতে হবে। সফটওয়্য়ার সংক্রান্ত এই কাজটি করবে আইআইটি খড়্গপুর। উদ্যোগ নেবে বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন; Migratory Birds: আপ্যায়নে ত্রুটি, বিরক্ত হয়ে মুখ ফেরাচ্ছে শীতের অতিথিরা!
তবে মেলা-প্রসঙ্গ ছাড়াও আরও নানা আলোচনা ওই বৈঠকে হয়েছে। তিনটি বাঁধের জলের সমস্যা রয়েছে। এই সমস্যা মেটাতে জলাশয়গুলির সংস্কারকাজ করতে হবে। এই সব সমস্যাই লিখিত আকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে। লিখিত আকারে জমা দেওয়ার পরেই বিশ্বভারতী পৌষমেলা এবং অন্যান্য সমস্যা নিয়ে পদক্ষেপ করবে বলে জানানো হয়েছে।