সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওষুধ নয়, দেওয়া হচ্ছে জলপড়া-তেলপড়ার দাওয়াই!
রোগ, দাম্পত্য কলহ, সাংসারিক অশান্তি, বাস্তুদোষ সবই নাকি সারছে মন্ত্রোচ্চারিত জলে!
নিজস্ব প্রতিবেদন : সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই জলপড়ার বিধান। দূরদূরান্ত থেকে রোজ রোগীর ঢল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। আর সেখানেই চলছে তেলপড়া, জলপড়ার দাওয়াই।
ফের বিজ্ঞান বনাম কুসংস্কারের দ্বন্দ্ব। সকাল থেকেই হুগলী জেলার সিঙ্গুরে বিঘাটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে উপচে পড়া ভিড়। বাতের ব্যথায় কাতর মাসিমা, কারোর বা দীর্ঘদিনের কোমর যন্ত্রণা। সবাইকেই ওষুধ নয়, ঢালাও দেওয়া হচ্ছে মন্ত্রপড়া তেল ও জল পড়া। একটু ব্যথার জায়গায় লাগিয়ে দিলেই নাকি সারছে রোগ!
প্রতিদিনই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগীর লম্বা লাইন পড়ে। সবার হাতেই তেল, জল মেশানো প্লাস্টিকের বোতল। রোগীদের দাবি, মন্ত্রোচ্চারণের পর সেই তেল-জলের মিশ্রণেই ম্যাজিকের মতো রেজাল্ট মিলছে। নিমেষে উধাও হয়ে যাচ্ছে ব্যথা।
আরও পড়ুন, ফেসবুক আলাপে এক সন্তানের মায়ের সঙ্গে 'সম্পর্ক', মর্মান্তিক পরিণতি যুবকের
মন্ত্রোচ্চারিত জলপড়ায় যেমন রোগ সারছে, তেমনই পারিবারিক অশান্তি, দাম্পত্য কলহ, বাস্তুদোষ সবই নাকি দূর হচ্ছে। এই মন্ত্রপড়া তেল-জল বাড়ির চারদিকে ছড়িয়ে দেওয়ার বিধান দিচ্ছেন প্রচারকরা। তাঁদের দাবি, ঈশ্বরের অলৌকিক কৃপাতেই সব সমস্যার সমাধান হচ্ছে।
আরও পড়ুন, 'খুন' হয়েছেন অভিজিত? দিঘায় ড্রাইভারের রহস্যমৃত্যুতে নয়া মোড়!
অলৌকিক কৃপা লাভের আশায় উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে পড়ছে লম্বা লাইন। আর চলছে ঢালাও জলপড়া, তেলপড়ার দাওয়াই। এই খবর সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ঘটনাস্থলে যান স্বাস্থ্যদফতরের লোকজন। উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে যায় পুলিসও। এই ঘটনা ফের সামনে নিয়ে এল বিজ্ঞান বনাম অন্ধবিশ্বাসের চিরন্তন দ্বন্দ্ব।