Raiganj: ঢাকের আওয়াজে তোলপাড় এসআই অফিস; চলল আবির খেলা, শোকজের জবাব দিতে এলেন শিক্ষকরা
Raiganj: ডিএ কর্মবিরতি সম্পর্কিত অদ্ভূত এক ঘটনা ঘটল হুগলির মগরায়। সেখানে এক অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষকের বাড়িতে এল শোকজের চিঠি। কেন তিনি গত ১০ মার্চ স্কুলে যাননি তা জানতে চাওয়া হয়েছে সরকারের তরফে
ভবানন্দ সিংহ ও বিধান সরকার: ঢাক বাজিয়ে, আবির খেলে শোকজের জবাব দিতে এসআই অফিসে প্রাথমিক শিক্ষকেরা। অভিনব এই প্রতিবাদে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল রায়গঞ্জের দক্ষিন সার্কেল অফিস চত্ত্বরে। শুক্রবার দুপুরে রায়গঞ্জের দক্ষিণ সার্কেলে জমায়েত হন ১০ মার্চ ধর্মঘটে সামিল ও স্কুলে গরহাজির ওই সার্কেলের অধীন বিভিন্ন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা। একে অন্যের কপালে গালে আবির দিয়ে কার্যত অকাল দোল খেললেন তারা। সঙ্গে চলল ঢাকের বাদ্যি। হাতে শোকজের জবাব পত্র নিয়ে ঢাকের তালে কোমর দোলালেন কেউ কেউ। আবার কেউবা নিজেরাই ঢাক কাঁধে নিয়ে ঢাক বাজালেন। বলতে গেলে কার্যত নাটকীয়ভাবে অভিনব প্রতিবাদ করলেন শিক্ষকেরা।
আরও পড়ুন-রবিবার হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখায় বাতিল সব লোকাল, শিয়ালদহ মেইনেও বাতিল বহু ট্রেন
শিক্ষকদের অভিযোগ, তাদের জন্যেই রাজ্য শিক্ষা ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ এগিয়ে আছে বলে কেন্দ্র দাবি করছে, কিন্তু সেই শিক্ষকদেরই এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বঞ্চিত করছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষকেরা। বকেয়া ডিএর দাবিতে একদিনের কর্মদিবস বা বেতন যদি যদি কাটাও হয় তাও তারা মেনে নেবেন। কিন্তু এই ডিএর দাবি থেকে তারা সরে আসবেন না বলে জানান বিক্ষোভকারীরা।
যদিও অফিসের সামনেই এই ঘটনা ঘটলেও কোনও কিছু না শুনে রাজ্যের নির্দেশ পালন হচ্ছে বলে জানান অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক।
অন্যদিকে, ডিএ কর্মবিরতি সম্পর্কিত অদ্ভূত এক ঘটনা ঘটল হুগলির মগরায়। সেখানে এক অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষকের বাড়িতে এল শোকজের চিঠি। কেন তিনি গত ১০ মার্চ স্কুলে যাননি তা জানতে চাওয়া হয়েছে সরকারের তরফে।
ছত্রিশ বছর চাকরি করার পর ২০১৬ সালে অবসর নিয়েছেন কিশোর চট্টোপাধ্যায়। তাকেই স্কুলে অনুপস্থিত থাকার কারন দর্শানোর নোটিশ দেওয়ায় হতবাক কিশোরবাবু। বলছেন হচ্ছেটা কি!
ডিএ শূন্য পদ পূরন সহ কয়েক দফা দাবিতে গত ১০ মার্চ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সেই ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন স্কুল শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। ধর্মঘটের আগে সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল ধর্মঘটের দিন অনুপস্থিত থাকলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে এক দিনের বেতন কাটা, সার্ভিস ব্রেক পর্যন্ত হতে পারে। সরকারি নির্দেশকে উপেক্ষা করে সেদিন সরকারি বিভিন্ন দফতর স্কুলে হাজির ছিলেন উল্লেখযোগ্য ভাবে কম। যারা সেদিন স্কুলে অনুপস্থিত ছিলেন তাদের শোকজ করা হয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে।
হুগলির মগড়ার আদি সপ্তগ্রাম হাইস্কুলের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক কিশোর চট্টোপাধ্যায়কে শোকজ করা হয়েছে। কিশোরবাবু জানান তিনি অবাক হয়েছেন এই ঘটনায়। স্কুলে ফিজিক্যাল এডুকেশানের শিক্ষক ছিলেন তিনি। ২০১৬ সালে তিনি অবসর নিয়েছেন। তার স্কুলের সহকর্মীরা তাঁকে আজ ফোন করে জানান শোকজের কথা। হোয়াটসঅ্যাপে চিঠিও পাঠিয়ে দেন।
প্রাক্তন শিক্ষক বলেন,তার আগে বা পরে অবসর নিয়েছেন এমন অনেককেই শোকজ করা হয়েছে। একজন স্কুলের করনিক ছিলেন। তিনি ২০১৯ সালে মারা গেছেন। তাকেও শোকজ করা হয়েছে। কিশোরবাবুর প্রশ্ন কতজন শিক্ষক কতজন অবসর নিয়েছেন কোনো তথ্যই কি পর্ষদের কাছে নেই।