Panihati Murder: একই জায়গায় একই কায়দায় জোড়া খুন! পানিহাটি হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদন : এক নয়, দু-দুটি খুন। একই জায়গায়, একই কায়দায়! পানিহাটি হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়। রবিবার দুপুরে পানিহাটির গিরিবালা ঘাটে উদ্ধার হয় একটি দেহ। সেই খুনের ঘটনায় তদন্তে নেমে গভীর রাতে পানিহাটির হরদয়াল বসু রোড থেকে মূল অভিযুক্ত বিপ্লব দাসকে গ্রেফতার করে খড়দহ থানার পুলিস। ধৃতকে জেরা করেই তদন্তকারীদের হাতে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে পানিহাটির গিরিবালা ঘাটে গঙ্গার পাড়ে উদ্ধার হয় একটি পচাগলা দেহ। মৃতের নাম বিশ্বনাথ দাস। পানিহাটির টি এন ব্যানার্জি রোডের বাসিন্দা বিশ্বনাথ দাস আগরপাড়া জুট মিলের কর্মী ছিলেন। শুক্রবার দিন থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। জানা যায়, শুক্রবার দিন তাঁকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গিরিবালা ঘাটে বসে তাঁর সঙ্গে মদ্যপান করে ধৃত বিপ্লব দাস। তারপর ভারী কিছু দিয়ে বিশ্বনাথ দাসের মাথার পিছনে আঘাত করে। আঘাতের চোটে বিশ্বনাথ দাসের মৃত্য হলে, দেহ টানতে টানতে গঙ্গার পাড়ে নিয়ে যায়। তারপর গঙ্গা পাড়ের চরে দেহটি পুঁতে দিয়ে তার উপর মাটির প্রলেপ দিয়ে দেয় অভিযুক্ত। পুলিসি জেরায় এই খুনের কথা কবুল করেছে ধৃত। প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান, মদ্যপানের আসরেই বচসার সূত্রপাত হয়। খুব সম্ভবত টাকা ধার নিয়েই বচসা বাঁধে দু'পক্ষের।

এর পাশাপাশি, আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে তদন্তকারী অফিসারদের হাতে। ধৃতকে জেরা পুলিস জানতে পেরেছে, বিশ্বনাথ দাসের আগে আরও একটি খুনে অভিযুক্ত এই বিপ্লব দাস। সেটাও ঠিক একই কায়দায় করেছে সে। গত ১৯ ডিসেম্বর পানিহাটির গিরিবালা ঘাটে উদ্ধার হয়েছিল আরও একটি দেহ। মৃতের নাম শেখর পাল। পানিহাটির নারায়ণপুর থানা এলাকার অন্তর্গত কাটাখালের বাসিন্দা ছিলেন বছর পঁয়তাল্লিশের শেখর পাল। একইরকমভাবে সেদিনও গঙ্গা পাড়ের চরের মাটি খুঁড়ে পাওয়া গিয়েছিল দেহটি। 

দুই খুনেই মূল অভিযুক্ত বিপ্লব দাস। পুলিসি জেরায় বিশ্বনাথ দাস ও শেখর পাল, দুজনকেই খুনের কথা স্বীকার করেছে ধৃত। কিন্তু কী কারণে কেন পর পর দুই ব্যক্তিকে খুন করল ধৃত? তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। সবদিক খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে বিপ্লব দাস মানসিক ভারসাম্যহীন। আজ ধৃতকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে।