নিজস্ব প্রতিবেদন: হোক না কৃষক সমাবেশ! লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদী রাজ্যে আসবেন আর রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে উঠবে না, তা কি কখনও হয়! রাজ্য বিজেপির নেতারাও চাইছিলেন কর্মীদের চাঙ্গা করতে নরেন্দ্র মোদী তৃণমূলকে কড়া আক্রমণ করুন। সোমবারের বক্তৃতায় মোদী তাঁদের মন রেখেছেন। সভার শুরুতেই ‘সিন্ডিকেট-রাজ’ নিয়ে মমতা-সরকারের প্রতি আক্রমণ শানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মেদিনীপুরের এদিনের সভা থেকে তিনি দুর্নীতির অভিযোগে ঘাসফুল শিবিরকে বারংবার বিদ্ধ করেছেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: মোদীর সভায় যাওয়ার পথে পুলিসকে মারধর বিজেপিকর্মীদের


কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগে সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর গলায় একাধিকবার শোনা গিয়েছে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ। জবাব দিতে এদিন পাল্টা কৌশল নিয়েছিলেন নমো। খোদ মমতা’র রাজ্যে এসে তাঁকেই আঘাত করলেন মোদী। কেন্দ্র টাকা দিলেও তৃণমূলের স্বজনপোষণের জন্যই সব ঘরে উন্নয়ন পৌঁছচ্ছে না বলে তাঁর অভিযোগ। তিনি বলেন, ‘‘টাকা পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু সিন্ডিকেটেই গায়েব হয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রের সব টাকা।’ এদিন তাঁর বক্তব্যের অনেকটা জুড়েই ছিল ‘সিন্ডিকেট রাজ’ প্রসঙ্গ।   
আরও পড়ুন: মেদিনীপুরের মঞ্চে ভাষণ দিচ্ছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী, তারই মধ্যে সভাস্থলের পিছনে ঘটে গেল ভয়ঙ্কর ঘটনা


মেদিনীপুরের সভায় এদিন মোদী বলেন, ‘‘মা-মাটি-মানুষের সরকারের আসল ছবি সিন্ডিকেট। জনমজুর থেকে সাধারণ কৃষক-প্রত্যেকের টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সিন্ডিকেট। কোথায় ফসল বিক্রি হবে, চাষি কত দামে ফসল বিক্রি করবে, তা ঠিক করবে সিন্ডিকেট। কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রেও সিন্ডিকেট দৌরাত্ম্য। এ রাজ্যে পার্টি আর সরকারের লক্ষ্য হল সিন্ডিকেটকে সাহায্য করা। ভোট ব্যাঙ্কের জন্যই সিন্ডিকেট ব্যবস্থা জারি রাখা হয়েছে। ভোট প্রক্রিয়াকেও মান্যতা দেয় না এ রাজ্যের সরকার।’’
আরও পড়ুন: নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন নরেন্দ্র মোদী!


আরও পড়ুন: নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন নরেন্দ্র মোদী!
আধঘণ্টার বক্তৃতায় চিটফান্ড-সহ রাজ্যের নানা সাম্প্রতিক ইস্যু ছুঁয়ে যান প্রধানমন্ত্রী। যা শুনে রাজনৈতিক মহল বলছে, রীতিমতো হোমওয়ার্ক করেই মেদিনীপুরে এসেছিলেন মোদী। কৃষি বিষয়ক সভা হলেও, এদিন থেকেই কার্যত বাংলার মাটিতে তিনি লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করে দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রথম সভাতেই শাসক দলকে কড়া আক্রমণে বুঝিয়ে দিলেন, ভোট যত এগিয়ে আসবে, ততই বাড়বে আক্রমণের ঝাঁঝ।