মৃত্যুঞ্জয় দাস: বিয়ে হচ্ছিল না। তান্ত্রিক পরামর্শ দিয়েছিল ঘোর অমাবশ্যায় নাবালিকার রক্তবস্ত্র-সহ মনসার থানে পুজো দিলেই খুলবে বিয়ের রাস্তা। রক্তবস্ত্র জোগাড় করতে নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ করে রক্তবস্ত্র সংগ্রহও করেছিল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের ওই গৃহশিক্ষক। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে ওই গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। সপ্তাহ খানেক আগে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে ধৃত গৃহশিক্ষক সবুজ দে-কে জেরা করে সেই তান্ত্রিকের খোঁজ পায় পুলিস। ধর্ষণে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গতকাল রাতে বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় থানার নারায়ণগঞ্জের মাঝিপাড়া থেকে গুরুপদ মাঝি নামের ওই তান্ত্রিককে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃত তান্ত্রিককে আজ পেশ করা হয় বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- বড় সিদ্ধান্ত সরকারের, ১৫ নভেম্বর থেকে অফিস শুরু সকাল ৯টা থেকে


সপ্তাহ খানেক আগে ওই নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে বিষ্ণুপুর থানা গ্রেফতার করে গৃহশিক্ষক সবুজ দে-কে। ধৃত গৃহ শিক্ষককে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিস। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদে ওই গৃহশিক্ষক দাবি করে বেশ কিছুদিন ধরেই সে বিয়ে করার চেষ্টা চালাচ্ছিল। কিন্তু বয়স ক্রমশ বেড়ে গেলেও কিছুতেই বিয়ে হচ্ছিল না। বিয়ের রাস্তা পরিস্কার করে দিতে পারেন বেলিয়াতোড়ের নারায়নগঞ্জ গ্রামের তান্ত্রিক গুরুপদ মাঝি। স্থানীয় সূত্রে ওই খবর পেয়ে সম্প্রতি তার কাছে হাজির হন সবুজ দে।



ওই তান্ত্রিকের যুক্তিতেই এত কাণ্ড। অভিযোগ, তান্ত্রিক সবুজ দে-কে পরামর্শ দেয় কালীপুজোর রাতে নাবালিকার রক্তবস্ত্র নিয়ে মনসার থানে পুজো দিলেই হবে কেল্লাফতে। এরপর সবুজ দে ওই নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ করে সেই ছাত্রীর রক্ত একটি সাদা কাপড়ে সংগ্রহ করে নেয়। কিন্তু এর পরেই নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সবুজ দে গ্রেফতার হয়ে যায়। এতে পুজো দেওয়া আর হয়নি। সবুজ দে-কে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ওই তান্ত্রিকের খোঁজ পায় পুলিস। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)