পুজোর সমস্ত আয়োজন ভেস্তে যাবে, আশঙ্কায় ফের হাইকোর্টে যাচ্ছে ফোরাম ফর দুর্গোত্সব
`হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে আঘাত পেয়েছেন। গতকালই খোলাখুলি বলেছেন ফোরাম ফর দুর্গোত্সবের সম্পাদক শাশ্বত বসু।`
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলায় এবার বেনজির দুর্গাপুজো। মণ্ডপ থাকবে দর্শকশূন্য। রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। দুর্গাপুজো নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের সিদ্ধান্ত পুনরায় বিবেচনার জন্য আজ পুজো বলেছেন ফোরাম ফর দুর্গোত্সবের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হবে। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে ফের শুনানি হতে পারে। আর সেদিকেই তাকিয়ে পুজো কমিটিগুলি।
"হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে আঘাত পেয়েছেন। গতকালই খোলাখুলি বলেছেন ফোরাম ফর দুর্গোত্সবের সম্পাদক শাশ্বত বসু।" তাঁর মতে, সিদ্ধান্ত আরও একটু বাস্তবোচিত হলে ভাল হত। শেষ মুহূর্তে হাইকোর্টের রায়ে খানিক বিপাকেই পড়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা। আর তার জেরেই ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন তাঁরা।
গতকাল পুজোর ভিড় নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জনস্বার্থ মামলার রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সমস্ত পুজো প্যান্ডলই নো এন্ট্রি জোন করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, জনস্বার্থে ছোট-বড় সমস্ত পুজোমণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষেধ। ছোট মণ্ডপে পাঁচ মিটার, বড় মণ্ডপে দশ মিটারের মধ্যে কেউ ঢুকতে পারবেন না। লিখে দিতে হবে নো-এন্ট্রি। মণ্ডপে ১৫ থেকে ২৫ জন থাকতে পারবেন। তাঁদের নামের তালিকা দিতে হবে।
মণ্ডপে উদ্যোক্তাদের তরফে যাঁরা থাকবেন তাঁদের তালিকা রোজ রোজ বদল করা যাবে না। যে ৩৪ হাজার ক্লাব সরকারি অনুদান নিয়েছে তাদের সবাইকে নিয়ম মানতে হবে। পুজোর সময় রাস্তায় ভিড় নিয়ন্ত্রণে সচেতনতার প্রচার করতে হবে। ক্লাবগুলি চাইলে ভার্চুয়ালি পুজো দেখানোর ব্যবস্থা করতে পারে। আজ থেকেই কার্যকর হচ্ছে আদালতের নির্দেশ।