অরূপ লাহা: গাড়ি চালকের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো পূর্ব বর্ধমানের ভাতাড়ে। ঘটনায় অভিযুক্ত চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিস। চালকের পাশেই বসেছিল ৯ বছরের নাবালিকা। পিছনের আসনে বসেছিলেন নাবালিকার পরিজন। রাতে গাড়ি চালানোর সময় ওই নাবালিকার সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগ উঠেছে গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে। ধৃতের নাম শেখ মফিজ (৩৫)। তার বাড়ি ভাতারের বালসিডাঙ্গা গ্রামে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, Poush Sankranti 2024: নজরদারি চালাচ্ছিল, ঘুড়ির প্যাঁচে পড়ে কুপোকাৎ পুলিসের ড্রোন!


রবিবার রাতে তাকে গ্রেফতারের পর সোমবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পাঠানো হয়। পাশাপাশি নাবালিকার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয় আদালতে। জানা গিয়েছে, ভাতার থানার আমারুণ গ্রামের একটি পরিবার শনিবার তাদের আত্মীয়বাড়ি নবদ্বীপে গিয়েছিল। ওই পরিবারের সঙ্গে ছিল তৃতীয় শ্রেণীর পড়ুয়া নাবালিকা। দাদু ঠাকুমার সঙ্গে নাবালিকা রবিবার রাতে বাড়ি ফিরছিল। 


ট্রেন থেকে আমারুন স্টেশনে নামার পর গ্রামে ফেরার কোনও গাড়ি ছিল না। সে সময় আমারুন গ্রামের এক বাসিন্দা ও নাবালিকার প্রতিবেশী দাদু সাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি তাদের দেখার পর দাঁড়িয়ে যান। তখন ওই পথ দিয়ে একটি চারচাকা গাড়ি যাচ্ছিল। গাড়িটি দাঁড় করান নাবালিকার প্রতিবেশী দাদু। তিনি নাবালিকা ও তার দাদু ঠাকুমাকে গ্রামে নামিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। গাড়িচালক শেখ মফিজ রাজি হয়ে যান। গাড়িচালকের পাশেই বসেছিল নাবালিকা। দাদু ঠাকুমা পিছনের আসনে ছিলেন।


এদিকে তারা গাড়িতে ওঠার পরই বাইক নিয়ে নাবালিকার বাবাও আমারুন স্টেশনে উপস্থিত হন। তিনি চারচাকা গাড়ির পিছনে যাচ্ছিলেন। গাড়িটি আমারুন ঢোকার মুখেই নাবালিকা কান্নাকাটি শুরু করে। তাকে জিজ্ঞাসা করায় ঘটনার কথা খুলে বলে। অভিযোগ আমারুন স্টেশন থেকে আমারুন গ্রামে যাওয়ার পথে ওই গাড়িচালক তার পাশের আসনে বসে থাকা নাবালিকার সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। নাবালিকার মুখে ঘটনার কথা শোনার পরেই তার পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা গাড়িটি আটক করে দেন।


গাড়িচালককে আটকে রেখে পুলিসকে জানানো হয়। পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে গাড়িচালককে আটক করে। পরে নাবালিকার বাবা অভিযোগ দায়ের করার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। বিজেপির বেশকয়েকজন নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তি সোমবার থানায় যান। তারা অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এই নিয়ে সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায় থানা চত্বরে। বিজেপি নেতা সৌমেন কার্ফা দাবি করেন,পুলিস খারাপ ব্যবহার করেছে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে। অন্যদিকে, রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, আমরাও চাই অভিযুক্তের কড়া শাস্তি হোক।



আরও পড়ুন, Jalpaiguri: অসম থেকে অযোধ্যা! ৭০ পেরিয়েও পায়ে হেঁটেই রামমন্দিরে চলেছেন ভবানীপ্রসাদ...


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)