কিরণ মান্না: সরকারি অফিসে টেন্ডারের বিল পাশ হতে নানান ঝক্কি সামলাতে হয় ঠিকাদারদের, এমন অভিযোগ শোনা যায় অনেক সময়। বিলের টাকা  নিয়ে বিভিন্ন গরমিলের অভিযোগও ওঠে নানান সময়ে। কিন্তু চা-দোকান থেকে চা খেয়ে সেই বিল মাসের পর ফেলে রাখার নজির বোধহয় খুব একটা নেই, তা-ও আবার সরকারি অফিসেই!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Jagannath's Ratna Bhandar 2024: বিভিন্ন সময়ে এসেছে আশ্চর্য অলৌকিক রহস্যময় সব বাধা! পুরীর মন্দিরের প্রাচীন রত্নভাণ্ডার...


হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের ব্লক প্রশাসনের ছোট্ট একটি চা-দোকানে বিল বাকি রয়েছে ১৩ হাজার ৬০০ টাকা! সামান্য একটা চা দোকানে কী করে হল এত টাকার বিল?


জানা গিয়েছে, দিনের পর দিন ব্লক ও পঞ্চায়েত সমিতির নানা মিটিংয়ে চায়ের পাশাপাশি খাওয়া হয়েছে বিস্কুট, কফি, মশলামুড়ি প্রভৃতি। মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির অনুমোদিত ক্যান্টিনটি সেখানকার কর্মীর অসুস্থতার জন্য বেশ কয়েকমাস বন্ধ ছিল। সেই সময়ে পঞ্চায়েত সমিতির কিছুটা দূরে, হিজলি টাইডাল ক্যানেলের পাড়ে গড়ে ওঠা নন্দ মাইতির এই চা-দোকান থেকে চা, বিস্কুট, কফি, মশলামুড়ি প্রভৃতি সরবরাহ করা হত। সেখানেই বিল হয়েছে এই প্রায় ১৪ হাজার টাকা! বিলের এই কয়েক হাজার টাকা দীর্ঘদিন ধরে পাচ্ছেন না নন্দ মাইতি। এমনকি, বকেয়া বিল পেতে একাধিকবার ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হতে হয়েছে তাঁকে। যদিও অভিযোগ, সেই টাকা মেলেনি। আর এতগুলি টাকা না পেয়ে সমস্যায় পড়েছেন প্রৌঢ় এই চা-ওয়ালা। 


শোনা গিয়েছে, বকেয়া চাইতে গেলে বিডিও তাঁকে ধমক দিয়ে দোকানঘরের জায়গার কাগজ দেখতে চেয়েছেন বলে দাবি ওই চা- ওয়ালার! যদিও বিষয়টি এমন নয় বলে দাবি মহিষাদলের বিডিও বরুনাশিস সরকারের। তিনি বলেন, 'আমি আসার আগেই এই ঘটনা ঘটেছে। উনি যে অভিযোগ করছেন, তা ভিত্তিহীন। উনি যে পরিমাণ টাকা বকেয়া বলছেন, আদতে তা নয়। আর যেহেতু সরকারিভাবে, সরকারি জায়গায় যাঁরা রয়েছেন তাঁদের তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে, তাই ওঁকে দোকানের জায়গার কী কাগজ আছে, তা আনতে বলা হয়েছে!'


ইতিমধ্যেই বকেয়া টাকা পাওয়ার জন্য মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিউলি দাসের কাছেও লিখিত আবেদন জানিয়েছেন নন্দ মাইতি। শিউলিদেবীর দাবি, আবেদন পেয়েছি, বিডিওর সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও পড়ুন: By-election Result: বিজেপি মাত্র ৩, দেশজুড়ে উপনির্বাচনে জয়জয়কার ইন্ডিয়া জোটেরই!


এদিকে এই ঘটনা সামনে আসায় কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য প্রদীপ দাসের বক্তব্য, একজন চায়ের দোকানদারকে তাঁর প্রাপ্য টাকা না দিয়ে অমানবিকতার পরিচয় দিচ্ছে মহিষাদল ব্লক প্রশাসন।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)