R G Kar Incident: স্কুলের ফার্স্ট গার্ল! কৃতী ডাক্তার-ছাত্রীর করুণ পরিণতিতে কেঁদে আকুল শিক্ষিকারা...
R G Kar Incident Update: সোদপুরের বাসিন্দা ওই চিকিত্সক-পড়ুয়া ছোটবেলায় পড়তেন সোদপুরেরই চন্দ্রচূড় বালিকা বিদ্যালয়ে। তাঁর কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন শিক্ষিকারা।
বরুণ সেনগুপ্ত: ছোট থেকেই মেধাবী। স্কুলের বরাবরের ফার্স্ট গার্ল। মাধ্যমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক, সবেতেই প্রথম। উচ্চমাধ্যমিকের পর ডাক্তারিতে সুযোগ। এমবিবিএস পাস করে চেস্ট মেডিসিনে স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। একইসঙ্গে ট্রেইনি চিকিত্সকও। সেই কৃতী ছাত্রীর এহেন নির্মম, করুণ পরিণতি। নারকীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে স্তব্ধ জীবন! মানতে পারছেন না নির্যাতিতার ছোটবেলার স্কুল শিক্ষিকারা। সোদপুরের বাসিন্দা ওই চিকিত্সক-পড়ুয়া ছোটবেলায় পড়তেন সোদপুরেরই চন্দ্রচূড় বালিকা বিদ্যালয়ে। এদিন তাঁর কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন শিক্ষিকারা। প্রত্যেকেই হতবাক। নিষ্ঠুর সত্যিটা কেউ এখনও মেনে নিতে পারছেন না! দাবি জানালেন, দোষীর উপযুক্ত শাস্তির।
প্রসঙ্গত, আরজিকর কাণ্ডের তদন্তে সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য! তদন্তে উঠে এসেছে, গভীর ঘুমের মধ্যেই আরজিকরের ওই চিকিত্সক-পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। সেইসময় মদ্যপ অবস্থায় ছিল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। জানা গিয়েছে, রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত নাইট ডিউটিতে থাকা সব ডাক্তাররা একসঙ্গেই ছিলেন। একসঙ্গেই ডিনার সারেন সবাই। জোম্যাটোতে খাবার অর্ডার করেছিলেন নির্যাতিতা চিকিত্সক-ই। সেমিনার হলে বসে অলিম্পিক্সে নীরজ চোপড়ার ম্যাচ দেখতে দেখতে ৫ জন মিলে একসঙ্গে সেই খাবার খান। তারপর বাকিরা চলে যান। আর ওই মহিলা চিকিত্সক-পড়ুয়া সেমিনার হলে যে বিছানা ছিল, সেখানেই কম্বল চাপা দিয়ে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। তারপর রাত ৩টে নাগাদ নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটে।
রাত আড়াইটে থেকে ৩টে নাগাদ দোতলা, তিনতলার করিডর ও চেস্ট ডিপার্টমেন্টের কাছে সিসিটিভিতে দেখা যায় ধৃত সঞ্জয়কে। সেমিনার হলের সামনের দিকে লিফট থেকে উঠে যে করিডর, সেখানেও সিসিটিভিতে দেখা যায় ধৃত সঞ্জয়কে। ৩টে পর থেকে সিসিটিভি ফুটেজে, প্রায় ৪৫ মিনিট পর অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে সেমিনার হল থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। আরও দেখা যায়, ধৃত সঞ্জয় যখন সেমিনার হলে ঢোকে, তখন তাঁর কানে হেডফোন ছিল। কিন্তু সেমিনার হল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সিসিটিভি ফুটেজে ধৃতের কানে কোনও হেডফোন দেখতে পাওয়া যায়নি। এখন সেই হেডফোনের ছেঁড়া অংশ মেলে মৃতদেহের পাশে। সেটি চালু করতেই তা 'কানেক্ট' হয়ে যায় ধৃত সঞ্জয়ের ফোনের সঙ্গে। সেই 'কানেকশন'-এর সূত্র ধরেই গ্রেফতার করা হয় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে।
উল্লেখ্য আরজিকর কাণ্ডে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মিলেছে হাড়হিম করা যৌন নির্যাতনের প্রমাণ। ম্যাটরেসে মেলে শুকনো রক্তের দাগ। মৃতার গোটা শরীরে আঘাত, মিলেছে ধস্তাধস্তির প্রমাণ। ডাক্তারি পড়ুয়ার দুই চোখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়। মুখে রক্তের দাগ। শরীরের একাধিক জায়গায় নখের আঁচড়ের চিহ্ন। যৌনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ। যৌনাঙ্গের কাছে মেলে চুলের ক্লিপ। নির্যাতিতার পেটে মেলে আঘাতের চিহ্ন। ডান হাতে ও আঙুলেও মেলে আঘাতের চিহ্ন। গলার হাড় ছিল ভাঙা অবস্থায়। ঠোঁটেও আঘাতের চিহ্ন। সেমিনার হলে অর্ধনগ্ন দেহের পাশ থেকেই উদ্ধার হয় পোশাক, ল্যাপটপ ও ব্যাগ। দেহের পাশে মেলে ভাঙা চশমাও।
আরও পড়ুন, R G Kar Incident: ৩-৪টে বিয়ে, পাঁড় মাতাল! ছেলে কোথায়? জানেনই না সঞ্জয়ের মা...
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)