নিজস্ব প্রতিবেদন: এবার নিজের খাসতালুকে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পালিয়ে বাঁচলেন তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। মঙ্গলবার তুফানগঞ্জের মরুগঞ্চে তাঁকে কালো পতাকা দেখান স্থানীয় মানুষ। পুলিস তাদের সরানোর চেষ্টা করলে পুলিসের গাড়ি ভাঙচুর করে জনতা। শুরু হয় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে এলাকা ছাড়েন রবীন্দ্রনাথ বাবু। এর পর তিনি যান কৃষ্ণপুর পঞ্চায়েত অফিসে। সেখানেও তাঁকে উদ্দেশ্য করে বিক্ষোভ দেখায় মানুষ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



মঙ্গলবার সকালে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র নাটাবাড়ি যাচ্ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। রাস্তায় মরুগঞ্জ এলাকায় তাঁকে উদ্দেশ্য করে বিক্ষোভ দেখায় জনতা। দেখানো হয় কালো পতাকা। বিক্ষোভের জেরে আটকে যায় তাঁর কনভয়। উত্তেজিত জনতাকে সরাতে এগিয়ে যায় পুলিস। পালটা লাঠিসোটা নিয়ে পুলিসকেই আক্রমণ করে জনতা। ব্যাপক ভাঙচুর করা হয় পুলিসের গাড়িতে। এরই মধ্যে কোনওক্রমে এলাকা ছেড়ে চলে যান রবীন্দ্রনাথবাবু। 


খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আরও পুলিস পৌঁছলে রাস্তা অবরোধ করে স্থানীয় মানুষ। ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়রা। দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধ চলে।


ওদিকে মরুগঞ্চ থেকে কৃষ্ণপুর পঞ্চায়েত অফিসে যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। সেখানেও তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। দেখানো হয় কালো পতাকা। 


গরিব ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণির ভোটেই লোকসভায় মোদীর মহাবিজয়


ঘটনার পর রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, 'পরিকল্পিত ভাবে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। এক দলের লোক অন্য দলের দফতরে গিয়ে হামলা চালাচ্ছে এই ঘটনা আগে ঘটেনি। আমরা মানুষকে বলছি, শান্ত থাকুন।'  


স্থানীয়দের অভিযোগ, রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে কালো পতাকা দেখানোয় গ্রামবাসীদের ব্যাপক মারধর করে তাঁর গুন্ডারা। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিসের গাড়ি ভাঙচুর করেছেন গ্রামবাসীরা।