নিজস্ব প্রতিবেদন: আরও এক বার পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে রাহুল গান্ধী। মালদহের চাঁচলের পর উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির জুটপার্ক ময়দানে সভা করলেন রাহুল গান্ধী। নরেন্দ্র মোদীকে পাশে রেখে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এক হাত নিলেন রাহুল গান্ধী। প্রয়াত কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সির স্মৃতি উস্কিয়ে রাহুল বলেন, “এটি প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সির জন্মভূমি। সারা জীবন তিনি মানুষের জন্য কাজ করেছেন।”


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


এ দিন মমতার উদ্দেশে তিনি বলেন, বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেস কোনোদিন জোট করেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন। চাঁচলের জনসভাতেও তৃণমূলের কড়া সমালোচনা করেছিলেন রাহুল। কংগ্রেসের মৌসম বেনজির নূর তৃণমূলে যোগ দেওয়া রাহুল বার্তা দেন, এখানকার মানুষ কখনও তাঁকে মাপ করবে না। তবে, এ দিন তাঁর সমালোচনার আদ্য-প্রান্তে ছিলেন নরেন্দ্র মোদীই। রাহুলের অভিযোগ, ৪৫ হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন বিজয় মালিয়াকে। অনিলকে দিয়েছেন ৩০ হাজার কোটি টাকা। দুটি ভারত বানাতে চান মোদী। এক অনিল অম্বানীর, তো অন্যটা গরিব মানুষ, কৃষকদের।


রাহুল গান্ধী আরও বলেন, রাফালের তদন্ত শুরু হলেই মোদী জেলে যাবেন। রাফাল ইস্যু তুলে চৌকিদারের চেহারা পালটে দিয়েছেন বলে দাবি করেন রাহুল। কংগ্রেসের ইস্তেহার নিয়ে রাহুলের বক্তব্য, ন্যায় থেকে বাদ যাবেন না কেউ। চাকরি দেওয়া হবে যুবক-যুবতীদের। উন্নতমানের হাসপাতাল, ন্যূনতম খরচে চিকিত্সার ব্যবস্থা করবে কংগ্রেস।


আরও পড়ুন- মাইনে না পেয়ে অফিসের ‘বস’কে অপহরণ! গ্রেফতার ৪


এ দিন গুজরাটে জুনাগড় থেকে কংগ্রেসের তুলোধনা করতে দেখা যায় নরেন্দ্র মোদীকেও। তিনি অভিযোগ করেন, গরিবের খাবার ছিনিয়ে নিচ্ছে কংগ্রেস। গর্ভবতী মহিলাদের টাকা লুঠ করছে বলে মোদী অভিযোগ করেন। এ দিন মোদী বলেন, গত পাঁচ বছরের ট্র্যাক রেকর্ড শোনাচ্ছি আমরা। কিন্তু কংগ্রেস শোনাচ্ছে তাদের টেপ রেকর্ড। একটাই আওয়াজ মোদী হটাও। গুজরাটের মাটিতে আরও এক বার জাতীয়তাবাদ নিয়ে প্রচারে মুখর হতে দেখা যায় মোদীকে। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, এয়ার স্ট্রাইকের প্রসঙ্গ তুলে আনেন তিনি। পাশাপাশি বিরোধীদেরকে এক হাত নিয়ে মোদীর কটাক্ষ, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, এয়ার স্ট্রাইকে ভয় পেয়েছ কংগ্রেস। জওয়ানদের বীরত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।