নিজস্ব প্রতিবেদন: কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে পড়ল কেউটে। অপহরণের অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে সামনে চলে এল এক আফিম ব্যবসায়ী খুনের ঘটনা। ধরা পড়ল দুই খুনি।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনার সুত্রপাত রায়গঞ্জ থানায় দায়ের হওয়া এক অপহরণ ও মুক্তিপন চাওয়ার অভিযোগকে ঘিরে। মানষী শর্মা নামে এক মহিলা অভিযোগ করেন তাঁর স্বামী মদন শর্মাকে সুজন বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি অপহরণ করে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাইছে।


ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে রায়গঞ্জ(Raiganj) থানার পুলিস। শুক্রবার রাতে করনদিঘী থানার রসাখোয়ার ভোপলাঘাট এলাকা থেকে অপহৃত মদন শর্মাকে উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে অপহরণকারী সুজন বিশ্বাসকেও গ্রেপ্তার করে পুলিস।


আরও পড়ুন-গার্গল করেই মিলবে Covid পরীক্ষার ফল, এসে গেল নতুন পদ্ধতি


কেন মদন শর্মার মতে একজন সাধারণ লরি চালককে অপহরণ? এটাই বিরাট রহস্যের হয়ে দাঁড়িয়েছিল তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের কাছে। অপহৃত ও অপহরণকারী দুজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিস। দীর্ঘ সময় সত্যি ঘটনা লুকিয়ে রাখতে সক্ষম হলেও শেষ অবধি পুলিসের জিজ্ঞাসাবাদে জালে ধরা পড়ে যায় দুজনেই। বেরিয়ে পড়ে আলিপুরদুয়ারের(Alipurduar) কালচিনির আফিম এক পাচারকারীর খুনের রহস্য।


এবছরের জানুয়ারি মাসে উত্তর দিনাজপুর জেলার করনদিঘী থানার বাসিন্দা পেশায় লরি চালক মদন শর্মা ও তার সঙ্গী সুজন বিশ্বাস লরি নিয়ে আলিপুরদুয়ারের কালচিনি যায়। পথে হরিয়ানার এক আফিম পাচারকারীকে তারা গাড়িতে তোলে। এরপর সুজন ও মদন দুজনে ওই আফিম পাচারকারীকে খুন করে বলে অভিযোগ ওঠে। 


ঘটনার তদন্তে নেমে সুজনকে গ্রেপ্তার করে কালচিনি থানার পুলিস। সুজনের ৩ মাস জেলও হয়। এদিকে অপর অভিযুক্ত মদন শর্মা গা ঢাকা দিয়ে রায়গঞ্জ শহরে এসে বসবাস শুরু করে। তিনমাস পর জেল হেফাজত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে সুজন বিশ্বাস করনদিঘীতে ফিরে আসে। গত ২৬ মে সুজন মদনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে রায়গঞ্জ থানার নাগরের ভাঙাবাড়িতে এক চায়ের দোকানে ডেকে নেয় ৷ তারপর থেকে আর খোঁজ মেলেনি মদনের।


আরও পড়ুন-রবিবার SSKM থেকে ছাড়া পাচ্ছেন Madan Mitra, ফেসবুকে সুরেলা লাইভ তৃণমূল বিধায়কের
 
পুলিসি জেরায় মদন ও সুজন স্বীকার করেছে, তারা দুজন মিলেই ওই পাচারকারীকে খুন করেছে। এরপর আফিম নিয়ে মদন শর্মা চম্পট দেয়। তারপর তা বিক্রি করে সব টাকা আত্মসাৎ করাতেই অপহরণ ও মুক্তিপণের দাবি।


শনিবার রায়গঞ্জ পুলিস জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার জসপ্রিত সিং জানান, মদন ও সুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই কালচিনিতে হরিয়ানার বাসিন্দা সাম্বির ভাইয়া নামের এক আফিম পাচারকারীর খুনের ঘটনা সামনে আসে। সেই মামলায় সুজন বিশ্বাস ও মদন শর্মা দুজনেই যুক্ত ছিল। পুলিস ধৃত মদন শর্মা ও সুজন বিশ্বাসকে শনিবার রায়গঞ্জ আদালতে পেশ করে আদালতের অনুমতিক্রমে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। ওই দু'জনকে কালচিনি থানার হাতে তুলে দেওয়া হবে পরবর্তী তদন্তের জন্য।