Train Derailed: ওন্দায় দুই মালগাড়ির সংঘর্ষে দুমড়ে মুচড়ে গেল ইঞ্জিন; লাইনচ্যুত ১৩ বগি, বাতিল বহু ট্রেন
Rail News: ওড়িশার বালাসোরে করমণ্ডল এক্স্প্রেসের দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও তাজা। সেক্ষেত্রেও মালগাড়ির লাইনে ঢুকে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ওন্দাতেও লুপ লাইনে একটি মালগাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। সেই লাইনেই ঢুকে পড়ে অন্য একটি গাড়ি। রেলের তরফে দাবি করা হচ্ছে লাইনে রেড সিগন্যাল ছিল।
মৃত্যুঞ্জয় দাস ও প্রসেনজিত্ মালাকার: গতকাল বর্ধমান মেইন লাইনে প্যান্টোগ্রাফ ভেঙে স্তব্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। রাত পোহাতেই বাঁকুড়ার ওন্দায় দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িকে ধাক্কা মারল অন্য একটি মালগাড়ি। ভেঙে চুরমার ইঞ্জিন ও একাধিক বগি। ওই দুর্ঘটনার জেরে বন্ধ আদ্রা-খড়গপুর শাখায় রেল চলাচল। দুর্ঘটনার জেরে বাতিল ১১টি ট্রেন।
আরও পড়ুন-পঞ্চায়েতে নির্দল হিসেবে মনোনয়ন, দলের ৫৬ কর্মীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিল তৃণমূল
ওই দুর্ঘটনায় লাইন থেকে ছিটকে বেরিয়ে গেল ১৩টি বগি। চালকের ভুলেই এই দুর্ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। অনুমান করা হচ্ছে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন মালগাড়ির চালক। যে মালগাড়িটি অন্য মালগাড়িকে ধাক্কা মারে সেটির ইঞ্জিনের সামনের অংশ মাটি থেকে অনেকটাই উপরে উঠে যায়। তা থেকে বোঝা যা কতটা প্রবল গতিতে মালগাড়িটি অন্য মালগাড়িকে ধাক্কা মারে। যেখানে দুর্ঘটনা হয়েছে তার পাশের রেলের একটি ঘর ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে।
ওড়িশার বালাসোরে করমণ্ডল এক্স্প্রেসের দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও তাজা। সেক্ষেত্রেও মালগাড়ির লাইনে ঢুকে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ওন্দাতেও লুপ লাইনে একটি মালগাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। সেই লাইনেই ঢুকে পড়ে অন্য একটি গাড়ি। রেলের তরফে দাবি করা হচ্ছে লাইনে রেড সিগন্যাল ছিল। তার পরেই গাড়িটি ওই লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে। চালক সম্ভবত ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। সেই কারণেই এই ধাক্কা। প্রবল ধাক্কার শব্দ এতটাই ছিল ছুটে আসেন আসপাশের লোকজন। তারাই এসে আহত চালককে হাসপাতালে ভর্তি করেন। শুরু হয়ে যায় উদ্ধারকাজ। আপলাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। ধাক্কা লাগার পর ইঞ্জিন কেবিনের যে অবস্থা তাতে চালকের যে খুব বেশি ক্ষতি হয়েছে তা মনে হয় না। কিন্তু ইঞ্জিনের পেছনের অংশে বগির পেছনের অংশর চাকা ভেঙে বেরিয়ে পড়েছে। দেখলে বোঝা যায় সংঘর্ষ কতটা তীব্র ছিল।
এদিকে, ওই দুর্ঘটনা নিয়ে সুর চড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, কারও কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এটাই সবচেয়ে ভালো খবর। রেল নিশ্চয় তদন্ত করবে যে কেন এত ঘনঘন পশ্চিমবঙ্গে রেল দুর্ঘটনা ঘটছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার লোকজন এর পেছন রয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা দরকার। অন্যদিকে, শুভেন্দুর মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, খরাপ লাগে উনি এক সময় আমাদের দলে ছিল। অনেকগুলো মন্ত্রকের মন্ত্রী ছিলেন। তার পর টাকা নিয়ে ধরা পড়ে জেল খাটার ভয়ে বিজেপিতে যোগ গিয়েছেন। এখন এমন ধরনের প্রলাপ তিনি বকছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন ঠেকানোর জন্য কোর্টে কোর্ট দৌড়ে বেড়াচ্ছেন। নন্দীগ্রামের এতবড় নেতা হয়েছে ৬৬টি জায়গায় প্রার্থী দিতে পারছেন না। তাঁর দলই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে পারছেন না । এইসব মানসিক অশান্তিতে আছেন। এসব নিয়েই এখন এসব বলছেন। কিছুদিন আগেই এতবড় রেল দুর্ঘটনা হল তা নিয়ে তানিয়ে কিছু বলছেন না। আমি ওঁকে বলব এসব না করে পঞ্চায়েত ভেটে মন দিন।