অনুপ মুখোপাধ্যায় ও সৌরভ চৌধুরী: টানা পাঁচ দিন ধরে রেল-সড়ক অবরোধের পর প্রত্যাহার করা হল কুড়মিদের রেল রোকো আন্দোলন। পুরুলিয়া জেলা শাসকের দফতরে রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পর ওই আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন কুড়মি নেতা অজিত মাহাতো। পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের বেশ কয়েকটি জায়গায় কুড়মিদের আন্দোলনে নাজেহাল হয়ে উঠছিলেন সাধারণ মানুষ। রাজ্যের আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের সচিব ও দুই জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আজকের বৈঠকে ছিলেন কুড়মি সমাজের একাধিক নেতা। আন্দোলনে ঠিক হয়েছে কুড়মিদের দাবিদাওয়া কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ওই বৈঠকের শেষে কুড়মি আন্দোলেন নেতা অজিত মাহাতো বলেন, মানুষের হেনস্তা আমরাও চাই না। মানুষ এই কদিন নাকাল হয়েছেন। এর জন্য দুঃখিত।  আন্দোলোন প্রত্যাহার করে নেওয়া হল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে 'মন্ত্রী' পার্থর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দাবি সুবীরেশের


উল্লেখ্য, কুড়মি জনজাতিকে তপসিলি জনজাতীর মর্যাদা দেওয়া, কুড়মালি ভাষাকে অষ্টম তপসিলের অন্তর্ভূক্ত করার দাবিতে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় রেল-সড়ক অবরোধ শুরু হয়ে যায়।  এর জেরে বাতিল হয় লোকল সহ ২৫০টি দূরপাল্লার বহু ট্রেন। নাকাল হন যাত্রীরা। ওই আন্দোলনের ফলে জাতীয় সড়কে সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল পণ্যবাহী ট্রাক। কাঁচামাল সব ট্রাকেই পচে যাচ্ছিল। প্রবল ক্ষতির সমম্ুখীন হচ্ছিলেন ব্যবসায়ীরা। ফলে পাঁচ দিনের মাথায় আন্দোলোন প্রত্যাহারে তারা কিছুটা স্বস্থি পেলেন।  কুড়মি সমাজের নেতা অজিত মাহাতো বলেন, সাধারণ মানুষের প্রচুর সমস্যা হয়েছে বুঝতে পারছি। কিন্তু এছাড়া আর কোনও রাস্তা ছিল না। কেননা ২০১৭ সাল থেকে এই লড়াই চলছে। কোনও ফল হচ্ছিল না। রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হয়েছি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। কোনও ফল হয়নি। আমাদের মতো একটি পুরনো আদিবাসী গোষ্ঠী এতদিন ধরে বঞ্চিত। এবার আমাদের স্বীকৃতি চাই। তবে আজকের আলোচনা খুবই ফলপ্রসু হয়েছে। এতে আমরা খুশি।


আজকের আলোচনার পর আশায় বুক বাঁধছেন ঝাড়গ্রামের কুড়মি সমাজের মানুজন। কুড়মি নেতা অজিত মাহাতো আরও বলেন, পুজোর সময়ে এরকম আন্দোলেন অনেকের অসুবিধে হচ্ছে। তবে অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষজনেরও আমাদের কথা শোনা প্রয়োজন। তবে এবার আলোচনার পর আন্দোলন তুলে নেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত পাঁচ দিন ধরে যে অচলাবস্থা চলছিল তা কাটতে বেশ খানিকটা সময় লাগবে। কারণ যেসব জায়গা কুড়মিরা আন্দোলন করছিলেন সেখানে যাবেন অজিত মাহাতো। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলবেন। তারপর অবরোধ উঠতে শুরু করবে। গাড়িল লাইন ঝাড়খণ্ড সীমানা পর্যন্ত চলে গিয়েছে। ফলে সেই জট কাটতে কমপক্ষে একদিনও সময় লাগতে পারে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)