নিজস্ব প্রতিবেদন : সকালে যে ব্রেকফাস্ট করে খাওয়াল, রাতে তাকেই বালিশ চাপা দিয়ে খুন। তারপর বউয়ের সাহায্য নিয়ে দেহ লোপাটের চেষ্টা। পুলিসি জেরার মুখে দুর্গাপুরের আবাসনে শিল্পা আগরওয়ালকে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে অভিযুক্ত ব্যাঙ্ক ম্যানেজার রাজীব কুমার। ধৃত রাজীব ও তার স্ত্রী মণীষাকে পুলিস হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে শুক্রবার সন্ধেয় শিল্পাকে দুর্গাপুরের ফ্ল্যাটে ডাকে রাজীব। শনিবার সকালে রাজীবকে ব্রেকফাস্ট করেও খাওয়ায় শিল্পা। বিয়ে করার জন্য দিনভর রাজীবকে চাপ দেন শিল্পা আগরওয়াল। শনিবার রাতে বাইরে থেকে খাবার আনিয়ে খায় রাজীব। রাতেই রাজীব বিভিন্ন মদের ককটেল বানিয়ে খায়। তারপর রবিবার ভোররাতে শিল্পাকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করে রাজীব।


খুনের সময় রাজীবের স্ত্রী মণীষা ফ্ল্যাটে ছিল না। সোমবার মণীষা ফ্ল্যাটে ফিরলে রাজীব তার কাছে সব স্বীকার করে। একে পারিবারিক সঙ্কট মনে করে রাজীবের পাশে দাঁড়ায় মণীষা। গলায় ওড়নার ফাঁস পেঁচিয়ে শিল্পাকে ঝুলিয়ে দেয় রাজীব ও মণীষা। গলায় ওড়নার দাগ পড়লে আত্মহত্যা প্রমাণ করা যাবে বলে মনে করে তারা। তারপর দেহ নামিয়ে শিল্পাকে নগ্ন করে প্লাস্টিকে মুড়ে ফ্রিজে রাখে রাজীব ও মণীষা। দেহ ছোট করতে পাস্টিকের ওপর সেলোটেপ দিয়ে বাঁধা হয়। দুদিন পরে দেহ বের করে ট্রলি ব্যাগে ভরে বেনাচিতি আবাসনের স্টোররুমের সামনে রেখে দেওয়া হয়।


আরও পড়ুন, উদ্ধার কন্ডোম, গর্ভনিরোধক; রানিগঞ্জের ভাড়া বাড়িতেই কি শিল্পার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতেন রাজীব?


পাকা অপরাধী নন। তাই পরিকল্পনা নিখুঁত হয়নি। ব্যাঙ্ক অফিসার দম্পতিকে অল্প চাপ দিয়েই রহস্যভেদ করে ফেলেছে পুলিস। আপাতত জেরা করে এই হত্যাকাণ্ডের মিসিং লিঙ্কগুলি জোড়া দেওয়ার চেষ্টা করবে পুলিস।