নিজস্ব প্রতিবেদন: বুধবার ভুমিপুজোর মাধ্যমে অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গোটা দেশজুড়ে সাজসাজ রব। প্রদীপ জ্বালিয়ে,যজ্ঞ করে রামকে স্মরণ করলেন কোটি কোটি দেশবাসী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিকে এই দিনেও প্রদীপের নীচের অন্ধকারে কৃত্তিবাস ওঝা। রামায়ণের রামচন্দ্রকে বাংলার মানুষের কাছে সহজ সরলভাবে তুলে ধরেছিলেন কৃত্তিবাস। বাল্মীকির সংস্কৃত রামায়ণ বাংলায় অনুবাদ করেছিলেন এই বঙ্গসন্তান।


আরও পড়ুন-টিভির সামনে হাতজোড় করে বসে ছেলেকে পুজো দিতে দেখলেন মা হীরাবেন



  
শুধু বাংলা নয়, কৃত্তিবাসের কীর্তি সবাই জানে। আর জানে বলেই গত রবিবার নদিয়ার ফুলিয়ার বেলঘড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বয়রা গ্রাম থেকে মাটি এবং গঙ্গাজল নিয়ে যাওয়া হয় অযোধ্যায়। এই বয়রাতেই জন্মেছিলেন রামায়ণের অনুবাদক কৃত্তিবাস। এটাই তাঁর পৈত্রিক ভিটে। আজও কৃত্তিবাসের বসতবাড়িতে  অনাদরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বহু স্মৃতি। সঠিকভাবে সেসব সংরক্ষণ করলে হতে পারে একটি পর্যটনকেন্দ্র। 


সেই বটগাছটি, কয়েক শতক ধরে ডালপালা বিস্তার বটে আজও বাংলায় রামায়ণ অনুবাদের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে । এই বটগাছটি তলায় বসেই রামায়ণের বঙ্গানুবাদ করেছিলেন কৃত্তিবাস ওঝা। রয়েছে তাঁর ব্যবহৃত কুপ।  শ্রী পঞ্চমীর দিনে কৃত্তিবাস ওঝার জন্মদিন কোনক্রমে পালিত হয়। যেখানে রামের মন্দির নিয়ে এত  তোলপাড় সেখানে আজও কেন উপেক্ষিত কৃত্তিবাসের গ্রাম!



রাজ্য সরকার কৃত্তিবাসের বসতভিটে অধিগ্রহণ করেছে ঠিকই  কিন্তু আজও উপেক্ষিত থেকে গেছেন বাংলা রামায়ণের রচয়িতা। বয়রা গ্রামের প্রতিটি মানুষের দাবি, ''দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরি হল। এটা আনন্দের । কিন্তু সেই আনন্দের পরিপূর্ণতা তখনই আসবে যদি রামের সঙ্গে গুরুত্ব দেওয়া হয় কৃত্তিবাসের জন্মভিটেকেও।  আমরা চাই তাঁর স্মৃতি যেটুকু বেঁচে আছে তা সংরক্ষণ করা হোক। আর রামায়ণের এই আদি কবির জন্মভূমিকে পর্যটন শিল্প হিসেবে গড়ে তোলা হোক।''


আরও পড়ুন-জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের একবছর, কী বদল হল কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলে?


কৃত্তিবাসের জন্মভিটে থেকে গঙ্গার দুরত্ব মাত্র দেড় থেকে দুই কিলোমিটার। প্রতিদিন গঙ্গার ভাঙন যেভাবে হয়ে চলেছে তা যদি রোধ না করা যায় তাহলে এই ইতিহাসের সলিল সমাধি শুধু সময়ের অপেক্ষা।