নিজস্ব প্রতিবেদন : রামপুরহাটকাণ্ডে (Rampurhat Massacre) সিবিআই তদন্তকারীদার নজরে দমকলের ভূমিকাও। রামপুরপুর ফায়ার স্টেশনের ওসি এবং সেদিন রাতের ডিউটি অফিসারকে আজ জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, সেদিন পুলিসের থেকে আগুনের খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ দমকলের দুটি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার সময়ই চার জনকে আহত অবস্থায় উদ্বার করা হয়। এরপর রাত ২টো দুটো নাগাদ আগুন অল্পবিস্তর নিয়ন্ত্রণে আসার পর দমকল বেরিয়ে যায়। পুলিসের এফআইআর কপিতেই উল্লেখ আছে এই তথ্য।


এখন প্রশ্ন হচ্ছে, রাতেই পুরো আগুন না নিভিয়ে কেন বেরিয়ে গেলেন দমকলকর্মীরা? ফায়ার সার্ভিসে দমকলের ‘কন্ডাক্ট অ্যান্ড ডিউটিতে’ স্পষ্ট বলা আছে যে, আগুন পুরো নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত, কেউ আটকে আছে কিনা সে বিষয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ঘটনাস্থল ছাড়া যাবে না। এখন যেখানে একটি বাড়ি থেকে চারজনকে আহত অবস্থায় উদ্বার করা হয়,  সেখানে অন্য বাকি বাড়িগুলোতে কেউ আছে কিনা, কারও প্রাণের ঝুঁকি আছে কিনা- তা নিশ্চিত করা হল না কেন? উঠছে প্রশ্ন। 


অভিজ্ঞ দমকল আধিকারিকরা বলছেন, কোনো জায়গায় আগুন লগলে সেই জায়গায় নিয়ন্ত্রণ দমকলের থাকে। পুলিস কেবল সহযোগিতায় থাকবে। দমকল যতক্ষণ মনে করবে অগ্নিস্থল ছাড়ার পরিস্থিতি নেই, ততক্ষণ সেখান থেকে বেরোতে পারেন না তারা। এক্ষেত্রে তাই প্রশ্ন উঠছে, কোনও বাধা পেয়ে কি দমকলকর্মীরা বেরিয়ে গিয়েছিলেন ? ঘটনাস্থল যে ছাড়ছেন সেটা কার নির্দেশ মতো ছেড়েছিলেন? পুলিসের সঙ্গে কী কথা হয়েছিল দমকলের? 


এই সব বিষয়ে তদন্তকারীরা জানতে চান দমকলের আধিকারিকদের কাছে। উল্লেখ্য, সেই রাতে ওসি নলহাটি, তৎকালীন আইসি রামপুরহাট, এসডিপিও ছিলেন শুরু দিকে দমকলের  সঙ্গে। যাঁদের  ইতিমধ্যেই বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। তাঁদের বয়ানের সঙ্গে দমকলের বয়ান মিলিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা।


আরও পড়ুন, Dev: 'আমাদের কথা দিল্লির কানে পৌঁছচ্ছে না, লড়াই করতে হবে', ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা দেব-এর


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)