নিজস্ব প্রতিবেদন : বিয়ের এক বছরের মাথায় প্রথম সন্তান। খবর আসতেই বাঁধ ভাঙা খুশিতে নেচে উঠেছিলেন স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু সেই আনন্দ আর বেশিদিন স্থায়ী হল না জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ির জল্পেশ মোড়ের বাসিন্দা দুলাল রায় ও রেখা রায়ের। জন্মের ৪ দিনের মধ্যেই চামড়ার জটিল সমস্যায় মৃত্যু হল সদ্যজাতর।    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পেশায় ট্রাক চালক দুলাল রায়ের সঙ্গে এক বছর আগে বিয়ে হয় রেখা রায়ের। বিয়ের অল্পদিনের মধ্যেই সন্তান সম্ভবা হয়ে পড়েন রেখাদেবী। অবশেষে প্রসবের দিন ধার্য করেন জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের চিকিত্সক। আর সেই খবর শুনতেই খুশির হাওয়া রায় পরিবারে। সময় অনুসারে রবিবার সকালে হাসপাতালে ভর্তি হন রেখাদেবী। ওই দিনই একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তিনি। কিন্তু, খুশি মুহূর্তে বিষাদে পরিণত হল সন্তানের মুখ দেখেই। এ যেন ভিন গ্রহের কোনও জীব। চামড়ার রং থেকে চোখের গঠন কোনটাই আর পাঁচটা সাধারণ শিশুর মতো নয়। চিকিত্সা পরিভাষায় একে বলে কলোডিয়ান বেবি। চামড়ার জটিল সমস্যার জন্যই কয়েক লাখে একটি এমন সদ্যজাত জন্ম নিতে পারে।


আরও পড়ুন- মায়ের অনুপস্থিতিতে কিশোরী মেয়ের শ্লীলতাহানির চেষ্টা বাবার


জেলা সদর হাসপাতালের সুপার গয়ারাম নস্কর বলেন, ''ডাক্তারি পরিভাষায় এই ধরনের শিশুকে বলা হয় কলোডিয়ান বেবি। জিনগত সমস্যার কারনেই এই রোগ দেখা দেয়। চামড়ার জটিল সমস্যা নিয়ে জন্ম নেয় কলোডিয়ান শিশুরা। চামড়ায় ইলাস্টিসিটি না থাকার জন্যই জন্মের পর থেকেই ফাটতে থাকে শরীর। শরীরে প্রয়োজনীয় অংশগুলি সময়মত বহিঃপ্রকাশ হয় না। জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের ইতিহাসে এটিই প্রথম কলোডিয়ান বেবি।''


জন্মের পর শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেন চিকিত্সকরা। কিন্তু তাতে কোনও ফল হয়নি। অবশেষে চারদিন পর হালপাতালেই মৃত্যু হল তার। সন্তানের মৃত্যুর পর ভেঙে পড়েছেন বাবা দুলাল রায়।