নিজস্ব প্রতিবেদন : "অখিল গিরি অসুস্থ, করোনায় আক্রান্ত। অখিল গিরি জেলার অন্যতম বড় সংগঠক। তাঁকে ছাড়া সভা সম্ভব নয়। আর তাই ৭ তারিখের নন্দীগ্রামের সভা স্থগিত করা হয়েছে।" সাংবাদিক বৈঠকে স্পষ্ট করে জানালেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee)। তিনি আরও বলেন, "অখিল গিরি সুস্থ হয়ে গেলেই সভা হবে। মুখ্যমন্ত্রী যাবেন। সভা হবে। আপাতত অখিল গিরির অসুস্থতার জন্য সভা স্থগিত করা হয়েছে। এখন সেখানে কর্মীসভা হবে।" উল্লেখ্য, করোনায় আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে বেলেঘাটা আইডি-তে চিকিত্সাধীন অখিল গিরি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, ৭ জানুয়ারি শহিদ দিবস। সেইদিন নন্দীগ্রামে যাওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee)। শুভেন্দু অধিকারীর গড় বলে পরিচিত নন্দীগ্রামে গিয়ে সেদিন জনসভা করার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু এদিন সকালে তৃণমূলের (TMC) তরফে সেই কর্মসূচি স্থগিত রাখার কথা জানানো হয়। দলের তরফে জানানো হয় যে, শহিদ দিবসে নন্দীগ্রাম যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। তার বদলে সেদিন সেখানে কর্মীসভা হবে। সেই সভা করবেন সুব্রত বক্সী।


শহিদ দিবসে মুখ্যমন্ত্রীর সভা স্থগিত হতেই উসকে ওঠে জল্পনা। বিজেপির (BJP) তরফে দাবি করা হয় যে, মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) চ্যালেঞ্জকে ভয় পাওয়ার কারণেই ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে আসছেন না মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, কাঁথির সভা থেকে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছিলেন, "৭-এ আসুন, ভাষণ দিন। আমি জানি আপনি কী বলবেন। ৮-এ পাল্টা সভা করে আমি আপনার সব কথার জবাব দেব।" 


এদিকে করোনায় অখিল গিরির অসুস্থতার কারণে মুখ্যমন্ত্রীর সভা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের এই ঘোষণার পরই তৃণমূলকে একহাত নিয়েছেন শুভেন্দু অনুগামী বলে পরিচিত কণিষ্ক পণ্ডা। তিনি বলেন, "এটা হাস্যকর। তিনি যে মিথ্যে কথা বলছেন, সুব্রতদার কথা শুনে তা মানুষ বুঝে গিয়েছেন। আসলে মমতা ব্যানার্জি খুব স্পষ্ট বুঝে গিয়েছেন যে নন্দীগ্রামে তাঁর পায়ের তলায় মাটি সরে গিয়েছে। কারণ শহিদ পরিবারের সদস্যরা স্পষ্ট জানিয়েছিলেন যে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করবেন, এতদিন পর মনে পড়ল? এই মাটি আর তোমার নেই। এই মাটি শুভেন্দুর।" 


যার জবাবে স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান পাল্টা বলেন, "কণিষ্ক পণ্ডার কথার কোনও দাম নেই। অখিল গিরি জেলার কো-অর্ডিনেটর। আর শুভেন্দু অধিকারী শুধু নন, নরেন্দ্র মোদীও নন্দীগ্রামে এলে আমরা তাঁকে হারাব।" পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর সভা স্থগিত হয়ে যাওয়ার কারণে তৃণমূল কর্মীদের মনোবল ভেঙে যাওয়ার প্রসঙ্গও উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। পরে আবার এপ্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য কটাক্ষ করেন, "মুখ্যমন্ত্রী বুঝেছেন তাই সভা করতে চাইছেন না। বিজেপির লোক সংখ্যা এখন মেদিনীপুরে অনেক বেশি।"


আরও পড়ুন, তৃণমূলে টাইগার, তরাই-ডুয়ার্সের আদিবাসী ভোট টানতে মোক্ষম চাল শাসকদলের