তৃণমূলে টাইগার, তরাই-ডুয়ার্সের আদিবাসী ভোট টানতে মোক্ষম চাল শাসকদলের

মালবাজার, নাগরাকাটা, মাদারিহাট, কালচিনি, কুমারগ্রামের মত পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে টাইগারের প্রভাব রয়েছে। 

Reported By: অর্ণবাংশু নিয়োগী | Updated By: Dec 28, 2020, 01:10 PM IST
তৃণমূলে টাইগার, তরাই-ডুয়ার্সের আদিবাসী ভোট টানতে মোক্ষম চাল শাসকদলের

নিজস্ব প্রতিবেদন : তৃণমূলে যোগদান করলেন তরাই-ডুয়ার্সের টাইগার তথা রাজেশ লকরা। ভারতীয় মূলনিবাসী আদিবাসী বিকাশ পরিষদের সেন্ট্রাল কমিটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। তাঁকে দলে টেনে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল মোক্ষম চাল চালল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 

প্রসঙ্গত, আগে বাম সমর্থক ছিলেন টাইগার তথা রাজেশ লকরা। ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাম সমর্থক ছিলেন তিনি। তৃণমূলের তরফে দাবি, মালবাজার, নাগরাকাটা, মাদারিহাট, কালচিনি, কুমারগ্রামের মত পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে টাইগারের প্রভাব রয়েছে। প্রভাব রয়েছে তাঁর আদিবাসী বিকাশ পরিষদের। এখন আসন্ন বিধানসভা ভোটে উত্তরবঙ্গ জয় করতে গেলে আদিবাসী ভোট টানা যে তৃণমূলের অন্যতম চ্যালেঞ্জ, তা বলাই বাহুল্য। আর সেক্ষেত্রে রাজেশ লকরার তৃণমূলে যোগদান বেশ উল্লেখযোগ্য।

টাইগারের কথায়, "এই এলাকাগুলিতে কম করে ৭৫ শতাংশ আদিবাসী ভোট রয়েছে। আদিবাসীদের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মাননীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কাজ করছেন, সেই জন্যই দলে যোগদান।" দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসের শেষের দিকে বিরসা মুন্ডার মূর্তি উদ্বোধনও করা হবে। 

তবে ইতিমধ্যেই আসন্ন ভোটে তৃণমূলকে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন বিমল গুরুং। এদিকে গুরুং-এর বিপরীত পন্থী হিসেবে পরিচিত টাইগার তথা রাজেশ লকরা। ফলে সেক্ষেত্রে একই দলের হয়ে একসঙ্গে কাজ করা কি সম্ভব? এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে টাইগার জানান, "বাংলাকে ভাগ হতে দেব না।"

আরও পড়ুন, গরু পাচার কাণ্ডে ২ রাজ্য পুলিসকর্মীকে জেরা CBI-এর, কয়লাকাণ্ডে নোটিস গণেশ বাগোড়িয়াকে

.