ওয়েব ডেস্ক: চারদিনে দুবার। বোমা-গুলি নিয়ে সংঘর্ষে উত্তপ্ত বাসন্তী। মূলত এলাকার দুই দাপুটে বিধায়কের দ্বন্দ্বের জেরেই বার বার গোষ্ঠীসংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছেন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। বোমাবাজি, গুলি, সংঘর্ষ। বার বার শাসকদলের গোষ্ঠীসংঘর্ষে উত্তপ্ত বাসন্তী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বোমাবাজি-গুলি বাসন্তীতে প্রায় রোজকার ঘটনা। বাম আমলে  CPM-RSP  শরিকি বিবাদে বার বার উত্তপ্ত হয়েছে বাসন্তী। শাসক বদলেছে। কিন্তু বাসন্তী-ক্যানিং-গোসাবার পরিস্থিতির কোনও বদল হয়নি। কারণ এলাকার ভেড়ি এবং জমির নিয়ন্ত্রণ। মুনাফা কোটি কোটি টাকা। তাই বরাবরই এই এলাকার রাশ হাতে রাখতে চেয়েছে ক্ষমতাশীন দল। এখন বাসন্তীতে দাপট শুধু তৃণমূলের। আর অশান্তির নেপথ্যে সেই এলাকার দখল নিয়ে গোষ্ঠীকোন্দলের পুরনো ট্র্যাডিশন। বাসন্তীতে বার বার অশান্তির নেপথ্যে ক্ষমতা দখলের লড়াই।


বাসন্তীতে তৃণমূলের সংগঠনের দায়িত্বে ছিলেন গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর। ক্যানিং পূর্ব কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা বাসন্তীর যুব তৃণমূল সভাপতি। তিনি রেজ্জাক মোল্লার ঘনিষ্ঠ। জয়ন্ত নস্কর অনুগামী আমানুল্লা লস্করকে সম্প্রতি বাসন্তীর যুব তৃণমূল সভাপতি করেন শওকত মোল্লা। কোনও আলোচনা ছাড়াই শওকতের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ জয়ন্ত নস্কর।


জয়ন্ত-শওকত তীব্র দ্বন্দ্বের জেরে এলাকায় কার্যত ২ ভাগে বিভক্ত শাসকদল এলাকায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা জানে দলের উচ্চমহলও। প্রশাসনিক বৈঠকে এনিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু অশান্তি থামেনি। ক্যানিং-বাসন্তীর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কার্যত রাতের ঘুম কেড়েছে তৃণমূলের।