Darjeeling: যোশীমঠ তো ডুবছে, এবার কি তবে দার্জিলিংয়ের পালা? নড়ে উঠছে পায়ের তলার পাথর...
Crisis at Darjeeling: ভবিষ্যতের কথা না ভেবেই ক্রমশ বিপদের দিকে এগোচ্ছে দার্জিলিং যা নিয়ে শঙ্কিত ভূবিজ্ঞানীরা। রাস্তার দুধারে শুধুই নির্মাণ, শুধুই বহুতল, বহু জায়গায় ঢাকা পড়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। এই অনিয়ন্ত্রিত বহুতল নির্মাণ যে বিপদ বাড়াচ্ছে সেকথা শুনিয়েছেনও বিশেষজ্ঞরা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কুইন অফ ওয়েস্টবেঙ্গল কি বিপন্ন? দার্জিলিং নিয়ে বিজ্ঞানীদের এই আশঙ্কা ছিলই, এবার অশনিসংকেত দেখা দিতে শুরু করেছে বলে শোনা যাচ্ছে। বলা হচ্ছে, যোশীমঠের মতো অবস্থা হতে পারে দার্জিলিংয়েরও। গত কয়েক দশক ধরে করা বেআইনি নির্মাণই সব চেয়ে বেশি দায়ী সেখানে। যা নিয়ে বারবার সতর্ক করা হলেও কথা কানে তোলেনি সংশ্লিষ্ট মহল। বিভিন্ন সমীক্ষা আর গবেষণা বলছে, যোশীমঠের মতো অবস্থা যে কোনও দিন হতেই পারে দার্জিলিংয়ে। কেননা, সরকারি আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শৈলশহরে পাহাড় কেটে উঠছে শয়ে-শয়ে বহুতল।
আরও পড়ুন: Weather Today: শেষের পথে জাঁকিয়ে শীতের ইনিংস, সংক্রান্তি পেরতেই ঠান্ডার বিদায়ঘণ্টা?
ভবিষ্যতের কথা না ভেবেই ক্রমশ বিপদের দিকে এগোচ্ছে দার্জিলিং যা নিয়ে শঙ্কিত ভূবিজ্ঞানীরা। রাস্তার দুধারে শুধুই নির্মাণ, শুধুই বহুতল, বহু জায়গায় ঢাকা পড়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। এই অনিয়ন্ত্রিত বহুতল নির্মাণ যে বিপদ বাড়াচ্ছে সেকথা শুনিয়েছেনও বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: Joshimath Sinking: বিপন্ন দেবভূমি; কেন বসে যাচ্ছে ছবির মতো সুন্দর যোশীমঠ, জানুন ৩ কারণ
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীনে বছরখানেক আগে তৈরি করা হয়েছিল আর্থকোয়েক ডিজাস্টার রিস্ক ইনডেক্স রিপোর্ট। সেখানে তিনটি সিসমিক জোন চিহ্নিত করা হয়েছিল-- সিসমিক জোন ৩, ৪ এবং ৫। এই সিসমিক জোন-৪-এ রয়েছে দার্জিলিং।
ভূবিজ্ঞানীরা বলছেন, দার্জিলিং পাহাড়ের গঠন আসলে এখনও চলছে। দার্জিলিং নরম শিলায় গঠিত। সেই শিলা বড় কংক্রিটের নির্মাণভার দীর্ঘ সময় ধরে বহন করতে পারে না। ফলে বিপর্যয়ের আশঙ্কা থাকে, ঘটেও।
ভূবিজ্ঞানীদের মতে, অবৈজ্ঞানিক উপায়ে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে অবাধে বহুতল নির্মাণ, রাস্তা তৈরি, পাহাড় কাটা-সহ নানা কারণে দার্জিলিং এই মুহূর্তে বড়সড়ো বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে। তাছাড়া দার্জিলিংয়ে ব্যাপকহারে যান চলাচল বৃদ্ধির কথাও বলা হয়েছে। নিয়মিত ভারী যান চলাচলের যে চাপ পড়ছে পাহাড়ে তাতে ভঙ্গুর পাহাড়ে আরও বেশি ফাটল ধরার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এর উপর রয়েছে পাহাড়ের প্রাকৃতিক নিকাশিনালাগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়া, অতিরিক্ত আবর্জনায় স্বাভাবিক ঝোরাগুলিরও জলবহন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়া ইত্যাদি নানা কারণে শৈলশহর ক্রমশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। এখনই সাবধান না হলে কিন্তু অচিরেই বিপদ ঘটতে পারে!