মাদ্রাসার আড়ালে আল-কায়দায় নিয়োগ, জঙ্গি সংগঠনের জন্য অর্থ সংগ্রহ!
বাংলায় জঙ্গি জাল বিস্তারের ক্ষেত্রে মুর্শিদাবাদ জেলাকেই টার্গেট করেছিল আল-কায়দা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই পরতে পরতে জট খুলছে ধাঁধার। সরাসরি এরাজ্যের ভূমিপুত্রদের নিয়োগ করে আল-কায়দা কীভাবে বাংলায় জঙ্গি নেটওয়ার্ক বিস্তার করছিল? একের পর এক তথ্য সামনে আসছে, আর সেই ধাঁধার উত্তর মিলছে!
ধৃত জঙ্গি আল মামুন কামালকে জেরা করে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদে তার একটি মাদ্রাসা আছে। জেরায় আল মামুন কামাল স্বীকার করেছে যে এই মাদ্রাসা তৈরি করার পিছনে মূল কারণই ছিল আল কায়দার হয়ে নিয়োগ করা। পাশাপশি জঙ্গি সংগঠনের জন্য ফান্ডিং অর্থাত অর্থ সংগ্রহ করা। সেই পরিকল্পনামাফিকই চলছিল কাজ। শুধু একটি মাদ্রাসা নয়। একইরকমভাবে আরও মাদ্রাসা তৈরি করা লক্ষ্য ছিল।
তদন্তে উঠে এসেছে, বাংলায় জঙ্গি জাল বিস্তারের ক্ষেত্রে মুর্শিদাবাদ জেলাকেই টার্গেট করেছিল আল-কায়দা। তার কারণ এই জেলায় অতি নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত মানুষের বাস। আল-কায়দার মতো জঙ্গি সংগঠনগুলোর লক্ষ্যই ছিল যেসমস্ত এলাকা গরিব, সেই এলাকাগুলোকে টার্গেট করা। কারণ সহজেই এই গরিব মানুষজনকে বুঝিয়ে তাদের মগজধোলাই করত তারা। আর তাতে খুব সহজেই তাদের মধ্যে জেহাদি মনোভাব তৈরির কাজ হাসিল করে নিত।
উল্লেখ্য, শনিবার ভোরে মুর্শিদাবাদের ডোমকল ও জলঙ্গি থেকে ৬ জন আল-কায়দা জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে NIA। এর পাশাপাশি কেরল থেকেও ৩ আল- কায়দা জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বাড়িও মুর্শিদাবাদে। অর্থাত মুর্শিদাবাদের মোট ৯ জন ভূমিপুত্র আল-কায়দার সঙ্গে সরাসরি যোগের কারণে এখন NIA-এর জালে।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, ধৃত জঙ্গিদের করোনা রিপোর্ট আসার জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। রিপোর্ট এসে গেলেই সোমবার দুপুরে বিশেষ বিমানে আঁটসাঁট নিরাপত্তার মধ্যে ধৃত ৬ জঙ্গিকে নিয়ে দিল্লি উড়ে যাবেন NIA আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন, বাড়ির ভিতর গোপন সুড়ঙ্গে মজুত থাকত বোমা, ফোনে মিলল ২২ সদস্যের 'জঙ্গি নেটওয়ার্ক'!