নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রতিদিন বাড়ছে পর্যটকদের সংখ্যা। বাড়ছে হুল্লোড়। অশান্ত সেই পরিবেশে কমছে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা। এমনই চেহারা গাজোলডোবায় তিস্তার জলাশয়ে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রতি বছর শীতে মালবাজার মহকুমার গাজোলডোবায় (gajoldoba) তিস্তার জলাশয়ে প্রচুর পরিযায়ী পাখি আসে। পাখি দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে প্রচুর পর্যটকও আসে তিস্তা ব্যারেজ এলাকায়। তবে এর ফলে পাখিদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেজন্য কয়েকবছর আগে মাইক বাজানো এবং পিকনিক বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু তাতে সমস্যার সমাধান হয়নি। পরিযায়ী পাখিদের সংখ্যা সেই কমছেই বলে দাবি বিভিন্ন পাখি বিশেষজ্ঞ এবং স্থানীয় মানুষের।


পিকনিক বন্ধ, বাজছে না মাইকও। পর্যটকেরা প্যাকেটবন্দি খাবার নিয়েই আসছেন। হলে কী হবে, ওই খাবারের প্যাকেট পড়ে থাকছে ব্যারেজের বিভিন্ন এলাকায়। যেখানে-সেখানে পড়ে থাকছে মদের বোতল, অন্য নেশাদ্রব্য। সব মিলিয়ে বাড়ছে দূষণ। 


আরও পড়ুন: কী পাননি বলুন তো, এত পাওয়ার পরও আপনাদের শুধু চাই চাই চাই: মমতা


শিলিগুড়ি (siliguri) ন্যাফের (Nature Adventure Foundation/NAF) সম্পাদক তথা পাখি বিশেষজ্ঞ অনিমেষ বসু বলেন, যে ভাবে তিস্তা ব্যারেজে মানুষজন খেয়েদেয়ে নোংরা আবর্জনা ফেলে দূষণ ছড়াচ্ছে, তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। পর্যটকদের হই-হুল্লোড় এবং চিৎকারে বিরক্ত হচ্ছে পাখিরা। এসব কারণে পাখির সংখ্যাও নিয়মিত কমছে ব্যারেজে।


স্থানীয় মানুষের দাবি, এ বছর পাখির সংখ্যা কমেছে। পাখিরা সাধারণত শান্ত পরিবেশে থাকতে ভালবাসে। কিন্তু ইদানীং তিস্তা ব্যারেজে মানুষের আগমন বেড়েছে। পরিবেশ আর শান্ত নেই। তাই পাখি আরও কমছে।


এই পরিস্থিতিতে কী করা যায়?


অনিমেষ বসু বলেন, এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনকে আরও একটু কড়া হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ইচ্ছেমতো কাজ করা থেকে বিরত করতে হবে বিশৃঙ্খল পর্যটকদের। পাশাপাশি মাঝিদেরও সতর্ক হতে হবে। মাঝিরা নৌকা করে যেসব পর্যটক নিয়ে যান, তাঁদের অধিকাংশই পাখি দেখলে চিৎকার করেন। এটা করা অনুচিত। মাঝিদের দায়িত্ব হবে, ওই সব পর্যটকদের বোঝানো। দরকার পড়লে তাঁদের প্রশিক্ষণও দিতে হবে।


আরও পড়ুন: 'বামেদের সময়ে পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা হয়নি', পুরুলিয়ার সভায় ফের বামবন্দনা Suvenduর