নিজস্ব প্রতিবেদন: মৃত্যুর ৩৮ দিন পর কুমেরু থেকে পুরুলিয়ায় ফিরল নিহত গবেষক শুভজিত্ সেনের দেহ। গত ২৭ মার্চ কুমেরুতে বরফে পা পিছলে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার পুরুলিয়ার বাড়িতে দেহ পৌঁছতেই কান্নার রোল ওঠে। এদিন দমদম বিমানবন্দর থেকে দেহ নিয়ে পুরুলিয়ার দুলমি - নডিহায় শুভজিতের বাড়িতে পৌঁছন গোয়ার ন্যাশনাল সেন্টার ফর আন্টার্কটিক অ্যান্ড ওসান রিসার্চের আধিকারিকরা। 
ভারতের ৩৭তম আন্টার্কটিক অভিযানে যোগ দিতে গত বছর অক্টোবরে দেশ ছেড়েছিলেন শুভজিত। কেপ টাউন হয়ে পৌঁছেছিলেন কুমেরুতে ভারতের গবেষণাগার 'মৈত্রী'-তে। ফেরার কথা ছিল ১৮ এপ্রিল। ২০ এপ্রিল শুভজিতের দাদা বিয়ের আয়োজন চলছিল। তার আগেই গত ১৮ এপ্রিল পুরুলিয়ার বাড়িতে পৌঁছয় দুঃসংবাদ। 


পঞ্চায়েত ভোটে জিতে স্মার্টফোন দেবে বিজেপি, ঘোষণা মুকুলের


গত ১২ এপ্রিল জাহাজে শুভজিতের দেহ পাঠানো হয় দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউনে। সেখানে দেহ পৌঁছয় ২২ এপ্রল। সেখান থেকে দুবাই হয়ে দেহ পৌঁছয় দমদম বিমানবন্দরে। 


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুভজিতের মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক। আন্টার্কটিকায় স্থলভাগের পরও বেশ কিছুটা এলাকা পুরু বরফে ঢাকা থাকে। সেই বরফের ওপর করা যায় না কোনও নির্মাণ। নির্মাণ করতে হয় স্থলভাগে। সমুদ্রের ওপর ভাসমান এই বরফ পেরিয়ে তবে ওঠা যায় জাহাজে। ভাসমান বরফের এই স্তরকে বলে আইস সেল্ফ। কুমেরুতে ভারতের গবেষণাগার মৈত্রী থেকে আইস সেলফের ওপর দিয়ে ৮০ কিলোমিটার 'পথ' পার করে তবে উঠতে হয় জাহাজে। সেই পথ পার করতে গিয়েই বরফের খাঁজে পড়ে যান  শুভজিত। তাতেই ঘটে বিপত্তি। মেধাবি ছেলেটার প্রয়াণে শোকের ছায়া এলাকায়।