নারায়ণ সিংহ রায়: পানীয় জলের কষ্ট থেকে শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪৭টি ওয়ার্ডের ভরসা এখন মহানন্দাই। কিন্তু মহানন্দার জল কতটা পানীয় যোগ্য তা নিয়ে চলছে পরীক্ষানিরীক্ষা। তবে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই যে পানীয় জলের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে তা নিজে মুখে স্বীকার করে নিলেন মেয়র গৌতম দেব। তার জন্য একাধিক বিকল্প পন্থা অবলম্বন করলেও প্রতিদিন কয়েক মিলিয়ন পানীয় জলের অভাব কতটা মিলবে তা নিয়ে তৈরি হচ্ছে সংশয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-অবসরকালীন টাকা হাতে আসেনি; অসুস্থ হয়ে মৃত্যু শিক্ষিকার, ডিআই অফিসে ধরনায় বসলেন শিক্ষকরা


তিস্তার বিপর্যয়ের কারনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজলডোবার তিস্তার বাঁধ। পানীয় জলের মূল যোগান ছিল তিস্তা। জরুরি ভিত্তিতে সেই বাঁধ মেরামতির কারনে তিস্তা থেকে জল উত্তলন আপাতত বন্ধ। প্রায় মাস খানেক সময় লাগবে তিস্তার বাঁধ মেরামতি করতে। লকগেট থেকে নদীর বাঁক ঘুরিয়ে একাধিক পদ্ধতি অবলম্বন করে নদীর জল শুকিয়ে কাজ শুরু হচ্ছে বাঁধ মেরামতির। তিস্তার জলস্তরের খামখেয়ালীপনার কারনে সেই কাজ মাঝে মধ্যেই বিঘ্নিত হচ্ছে৷ কাজেই প্রায় মাস খানেক সময় ধরেই চলছে বিভিন্ন দফতর। কিন্তু এরই মাঝে পানীয় জলের জোগান কি হবে তা নিয়ে দফায় দফায় পুরনিগম জলবিভাগ থেকে ইরিগেশন, পুর্ত দফতর সকলের সাথে বৈঠক করছেন।


শনিবার গজলডোবার বাঁধের কাজ খতিয়ে দেখতে যান খোদ মেয়র গৌতম দেব। সেখান থেকে ফুলবাড়ির জল উত্তোলন কেন্দ্র সবটাই খতিয়ে দেখেন তিনি। ফুলবাড়ির মহানদা ব্যারেজে প্রায় সাত কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন জলাশয় তৈরি করছে পুরনিগম। জল বিভাগ সেই কাজ পুনে থেকে সম্পন্ন করছে।  যার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে সেই কাজ সম্পন্ন হওয়ার প্রহর গুনছে পুরনিগম। ফুলবাড়িতে দ্বিতীয় জলাশয় তৈরিকে কেন্দ্র করে বামেদের একহাত নিয়ে মেয়র গৌতম দেব বলেন, "বিগত ৪০ বছরর বামেরা এই কাজটি করতে পারেনি। তাহলে আজকের তারিখে মানুষের পানীয় জল নিতে ভাবতে হত না। জল বিভাগ কারিগরি পুনে থেকে করছে। সেটাতে একটু সময় লাগছে৷ বিকল্প এই জলাশয়টি থাকলে পানীয় জল সরবারহ স্বাভাবিক থাকত। কিন্তু সেটা তৈরি হয়নি৷ প্রায় ৬.৯ কোটি টাকা ব্যায়ে সেটা তৈরি করছি।"


অন্যদিকে পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে মেয়র বলেন , "বাঁধ মেরামতি কারনে তিস্তার জলস্তর নামিয়ে আনা হয়েছে। যার কারনে আমরা পানীয় জল পাব না। তবে আপাততভাবে পানীয় জলের পিরিস্থিতি ঠিক রয়েছে। তবে তিন থেকে চারদিন পর থেকে পানীয় জলের সমস্যা হবে। যার কারনে ট্যাঙ্ক ও জলের পাউচ দিয়ে সেই সমস্যা খানিকটা মেটানোর চেষ্টা চলছে।"


পাশাপাশি বিকল্প পানীয় জলের ব্যাবস্থা নিয়ে মেয়র বলেন, "মহানদা থেকে জলের নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে। বেশ কয়েকটি পরীক্ষা আরও বাকি রয়েছে৷ রিপোর্ট যদি ঠিক আসে তাহলে সেটাই পরিশোধিত করে পানীয় জল হিসেবে সরবারহ করা হবে।"


ভরসা মহানন্দা নদী হলেও সেখানেও বেশ কিছু অসংগতি থাকছে। পাহাড়ি নদীর জলস্তর সব সময় এক থাকে না। সেক্ষেত্রে মহনন্দার জলস্তর এখানে বড় সমস্যা। এ বিষয়ে গৌতম দেব বলেন ,  "বিভিন্ন দফতরের সাথে কথা বলেছি। তারা বলছেন মহানন্দার জলস্তর যদি ১৭.৫ থাকে তাহলে কোন সমস্যা হবে না। ইরিগেশন সেই জলস্তর বজায় রাখার চেষ্টা করবে৷ কিন্তু সবটাই কাল্পনিক। তবুও তারা চেষ্টা করবে বলেছে।"


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)