ভাঙা পোস্টেই হাই ভোল্টেজ বিদ্যুৎ সংযোগের অভিযোগ, বিপদের আশঙ্কা বাসিন্দাদের
বিভিন্ন কারণে সে সব জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। তবে বেশ কিচু জায়গায় গোজামিল দিয়েই কোনওমতে বিদ্যুৎ সংযোগ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভাঙা লাইট পোস্টেই ঠেকনা দিয়ে হাই ভোল্টেজ তারে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে গিয়েছেন বিদ্যুৎ কর্মীরা। আর এর ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কাতে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয়রা। আমফানের পর প্রায় ১১ দিন অতিক্রান্ত। এখনও বহু জায়গা বিদ্যুৎহীন। বিভিন্ন কারণে সে সব জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। তবে বেশ কিচু জায়গায় গোজামিল দিয়েই কোনওমতে বিদ্যুৎ সংযোগ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের।
আরও পড়ুন: প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু রাজ্যে, দক্ষিণবঙ্গে জারি কালবৈশাখীর প্রকোপ
আমফানের প্রভাবে যে সমস্ত জেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি সেই সব অঞ্চলের বাসিন্দারা বলছেন অনেক বিদ্যুতের পোস্ট ভেঙে গিয়েছে। এই অবস্থায় ভাঙা পোস্টেই বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের কথায়, কোথাও ৪৪০ ভোল্ট আবার কোথাও ১১০০০ ভোল্টের তারে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে। যেমন, উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাত কাজিপাড়া, দত্তপুকুর দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভগবানপুর। অবস্থা এমন যে, যেকোনও সময় বিপত্তি ঘটতে পারে বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: 'লকডাউনযাপন শেষ', এবার ঘরে ফেরার পালা মহারাষ্ট্রে কাজে যাওয়া পরিযায়ীদের
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ কর্মীদের একাংশের দাবি, "বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় গ্রামের মানুষ বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। বাধ্য হয়ে তাঁদের তড়িঘড়ি লাইন দিয়ে দিতে হচ্ছে। কাজেই সব জায়গাতে এইমুহূর্তে বিদ্যুতের নতুন পোস্ট দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।" বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আগে প্রাথমিকভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়াটা টার্গেট ছিল। আগামী দু-দিনের মধ্যে বড় কাজগুলো শেষ হয়ে যাবে। তারপর বাকি কাজ করা হবে। পোস্টের কোনও সমস্যা নেই আপাতত।" তবে এসব কথা মানতে নারাজ এলাকাবাসীরা। কবে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত পোস্ট মিলবে এই একটাই প্রশ্ন ফিরছে তাঁদের মুখে।