বিধানসভায় সর্বসম্মতভাবে পাস CAA বিরোধী প্রস্তাব, এক জোট হয়ে লড়ার বার্তা মমতার
বিধানসভায় প্রস্তাবটি পেশ করেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রস্তাব পেশ করে তিনি বলেন, নয়া নাগরিকত্ব আইন পাশের পর দেশ বিপন্ন। তাই, তার বিরোধিতা করে এই বিরোধী প্রস্তাব।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কেরালা-পঞ্জাব-রাজস্থানের পর এবার বাংলা। রাজ্য বিধানসভায় সর্বসম্মতভাবে পাস হয়ে গেল CAA বিরোধী প্রস্তাব। বাম ও কংগ্রেস দুই বিরোধীই প্রস্তাবের পক্ষে থাকায় ভোটাভুটির প্রয়োজন পড়েনি। বিধানসভায় প্রস্তাবটি পেশ করেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রস্তাব পেশ করে তিনি বলেন, নয়া নাগরিকত্ব আইন পাশের পর দেশ বিপন্ন। তাই, তার বিরোধিতা করে এই বিরোধী প্রস্তাব।
আরও পড়ুন: চাপান-উতোর কক্ষে, শেষমেশ বিধানসভায় পেশ হল CAA বিরোধী প্রস্তাব
বাম ও কংগ্রেস দুই বিরোধী পক্ষই প্রস্তাবকে স্বাগত জানায়। তবে, কেন দেরিতে বোধোদয় তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে দুই শিবিরই। আব্দুল মান্নানের প্রশ্ন, CAA বিরোধিতা করলেও, কেন আইন পাশের দিন সংসদে গরহাজির ছিলেন বেশকয়েকজন তৃণমূল সাংসদ? বক্তব্য রাখতে উঠে ফিরহাদ হাকিম বলেন, NRP-র বিরোধিতা করেও, বহু দল দিল্লিতে ডাকা বৈঠকে যোগ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা আসলে ‘চিরকুট’, ঘা দিলেই পালাবে: নয়া বাণী সায়ন্তনের
কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ তিনি NPR -র মিটিংয়ে যাননি। মুখ্যমন্ত্রী এগিয়ে। বলতে উঠে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আইনের বিরুদ্ধে একজোটে লড়াইয়ের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, এই আইন পুরোপুরি জনস্বার্থ বিরোধী। অবিলম্বে নয়া এই নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহার করতে হবে। নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই বিজেপি এই আইন তৈরি করেছে। বেশকিছুক্ষণের আলোচনার পর সর্বসম্মতভাবে সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাশ হয়।
সেপ্টেম্বরে বিধানসভায় নাগরিকপঞ্জির বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস হয়। তখনও নতুন নাগরিকত্ব আইন চালু হয়নি। ৯ জানুয়ারি বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে নয়া আইনের বিরুদ্ধে সর্ব সম্মত প্রস্তাব পাসের দাবি জানায় বাম-কংগ্রেস। তবে, স্পিকার আলোচনার অনুমতি দেননি। মুখ্যমন্ত্রী শুরু থেকে বলেছেন CAA তিনি মানেন না। তাহলে বিধানসভায় প্রস্তাব আনতে বাধা কেন? সমালোচনা শুরু করে দেয় বাম-কংগ্রেস। অবশেষে গত সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, তিনি রাজি। সেই কর্মসূচি অনুযায়ীই আজ সোমবার বিধানসভায় অস্থিরতার মাঝেই সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পেশ করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।