নিজস্ব প্রতিবেদন:  স্বপ্ন আছে, তবে কবিতার ললিত ছন্দ নেই। এখানে আছে দাঁতে দাঁত চেপে বেঁচে থাকার লড়াই। আছে সমাজের চোখরাঙানিকে সপাটে উড়িয়ে দিয়ে সসম্মানে বাঁচার চেষ্টা। যে লড়াইটা লড়ছেন হরিদেহপুরের রিকশা চালক মিঠু পণ্ডিত। মহিলা হয়েও পা রেখেছেন প্যাডেলে। এগিয়ে চলেছে তাঁর স্বপ্নের রিকশা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: খুন না মদ্যপানের জেরে দুর্ঘটনা? ইঞ্জিনিয়ার খুনে ক্রমেই বাড়ছে রহস্য


প্রয়োজন নেই, কবিতার স্নিগ্ধতা-


কবিতা তোমায় দিলাম আজকে ছুটি,


ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়:


পূর্ণিমা-চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।।


……. এ সংসারে সবটাই গদ্যের কঠিন কঠোর বাস্তব... রোজের রুটির জন্য লড়াই।


যে লড়াইটা একাই লড়ছেন বছর পঁচিশের মিঠু পণ্ডিত। তাঁর জীবনের যুদ্ধ ঘরে-বাইরে।


রিকশা চালাচ্ছেন একটি মেয়ে... ভাবতেই কেমন যেন বাধ-বাধ ঠেকে সো কল্ড এই প্রোগ্রেসিভ সমাজের। কিন্তু হঠাত্ যেদিন নার্ভের রোগে কাবু হয়ে পড়লেন স্বামী সেদিন আর কিই বা করার ছিল মিঠুর।


আরও পড়ুন: ''দিদি যা বলবেন, তাই করব''', বললেন নোয়াপাড়ার বিজেপি প্রার্থী


প্যাডেলে চাপ দিলাম... আর রিকশা ছুটল তা মোটেই হয়নি মিঠুর জীবনে। ছি, ছিক্কার পড়ে গিয়েছিল চার দিকে। এসেছিল বাঁকে বাঁকে বাধা।


ভাড়ার ঘরে সংসার। সমালোচনার সঙ্গে  আপোস করেননি মিঠু। চলেছে হাড়ভাঙা খাটনি। দুই ছেলে মেয়ে বড় হচ্ছে। তাদের জন্যই মিঠুর এই লড়াই।


কেউ বলেছে রিকশা ভেঙে দেব। কেউ বা মেয়ে বলে ভাড়া নিতে চায়নি। তাও দমেননি মিঠু। আধাঁরে সংসারে আলো ফুটাতে প্রত্যয়ী হরিদেব পুরের এই হার না মানা এই যুবতী। জানেন একদিন তাঁর ভাঙা ঘরে ঠিক চাঁদ হাসবে...