নিজস্ব প্রতিবেদন: আদিবাসী উন্নয়ন কোর কমিটির চেয়ারম্যান হলেন বহিষ্কৃত সিপিআইএম সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের আদিবাসীদের উন্নয়নের রূপরেখা ঠিক করতে শুক্রবার এই কমিটি গঠন করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কমিটির চেয়ারম্যান হলেন ঋতব্রত। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দলবিরোধী কাজ ও শৃঙ্খলাহীন জীবনযাপনের জন্য গত সেপ্টেম্বরে ঋতব্রতকে দল থেকে বহিষ্কার করে সিপিএম। তার পর থেকে রাজ্যসভার নির্দল সাংসদ হিসাবে কাজ চালিয়ে যান ঋতব্রত। তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়েও জল্পনা চলতে থাকে। ঋতব্রত তৃণমূলমুখী বলে গুঞ্জন ছড়ায়। এদিন মুখ্য়মন্ত্রীর ঘোষণায় সেই অনুমানেই শিলমোহর পড়ল। 


জানা গিয়েছে, ওই কমিটিতে প্রতিটি জেলা থেকে থাকবেন ২ জন প্রতিনিধি। কমিটির নেতৃত্ব দেবেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনী ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।  


ঋতব্রতকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ডামাডোল চলছিল সিপিএমে। ডামাডোলের সূত্রপাত ঋতব্রতর জীবনযাত্রা নিয়ে। গত বছর ঋতব্রতর একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায় শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে খেলা দেখার সময় সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদের পকেটে রয়েছে দামি কলম। হাতে দামি ঘড়ি। এই নিয়ে সোশ্যাল সাইটে পোস্ট করায় বেঙ্গালুরুতে কর্মরত এক ব্যক্তিকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। 


সাফাই দিয়ে ঋতব্রত জানান, ওই কলম ও ঘড়ি সংসদ হিসাবে পাওয়া টাকা দিয়ে কিনেকেছেন তিনি। এমনকী ফেসবুকে তাঁর সম্মানহানির চেষ্টা হচ্ছে বলে পালটা অভিযোগ করেন তিনি। 


শিশুর দেহ ফুঁড়ে লোহার রড ঢুকে গেল মায়ের শরীরে, হাড়হিম দৃশ্যে বুলি হারালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা


এরই মধ্যে ঋতব্রতর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আসে আলিমুদ্দিনে। জানা যায়, একাধিক নারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই নিয়ে রাজ্য কমিটির বৈঠকে ঋতকে সতর্ক করা হয়। অভিযোগ, তাতেও কাজ হয়নি। এর পর ঋতব্রতর বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তে মহম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের কমিটি গড়ে দল। কমিটির সুপারিকে রাজ্যসভার সাংসদকে বহিষ্কার করে দল।


এরই মধ্যে নম্রতা দত্ত নামে বালুরঘাটের বাসিন্দা এক যুবতীর সঙ্গে ঋতব্রতর বেশ কিছু ঘনিষ্ঠ ছবি প্রকাশ্যে আসে। প্রকাশ্যে আসে ঋতব্রতর কিছু অসংলগ্ন আচরণের ভিডিও।