Nadia: কয়েকটি শুঁয়োপোকার জন্য রেগে গিয়ে শেষে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বসলেন এলাকাবাসী...
Caterpillar in Nadia: শুঁয়োপোকা দেখলেই কাঠি দিয়ে ধরে দূরে ফেলে দেওয়াই রীতি। এতদিন বোধ হয় শুঁয়োপোকা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশের এটাই ছিল একমাত্র পথ। আর তা রইল না। এবার শুঁয়োপোকার জন্য বিরক্ত হয়ে একেবারে রাস্তা অবরোধ।
অনুপ দাস: 'শুঁয়োপোকা, প্রজাপতি হয়ে ফিরে এসো!' শুঁয়োপোকা নিয়ে খুব চেনা একটা লব্জ। শুঁয়োপোকাকে কেউ পছন্দ করে না। কেনই-বা করবে? সারা গায়ে ওই ভয়ংকর রোঁয়া। গায়ে লাগলেই বিচ্ছিরিরকম জ্বলুনি। আশপাশে শুঁয়োপোকা দেখলেই তাই কাঠি দিয়ে ধরে দূরে ফেলে দেওয়াই রীতি। এতদিন বোধ হয় শুঁয়োপোকা নিয়ে বিরক্তিপ্রকাশের এটাই ছিল একমাত্র পথ।
আরও পড়ুন: Malda: থাইল্যান্ডের লঙ্গন এখন বাংলার মাটিতে! কাঠলিচু, না আঁশফল? ধন্দে এলাকাবাসী...
এবার তা রইল না। এবার শুঁয়োপোকার জন্য বিরক্ত হয়ে একেবারে রাস্তা অবরোধ করে ফেললেন এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ায়। শুঁয়োপোকার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করলেন তাঁরা!
কোথা থেকে আসছে দলে-দলে শুঁয়োপোকা? কেন এত শুঁয়োপোকা?
জানা গিয়েছে, পাট চাষের ফলেই এই কাণ্ড। পাটচাষের জেরে এলাকা দখল করে ফেলেছে শুঁয়োপোকা। এদের জ্বালায় সাধারণ মানুষের বাড়িতে টেকা দায়। এরই প্রতিবাদে নবদ্বীপে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শুঁয়োপোকার উপদ্রবে বাড়িতে থাকা দায় হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের। প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে এরকম ভাবে শুঁয়োপোকার উপদ্রবে চলছে। আর তাতে নাজেহাল স্থানীয় বাসিন্দাদের জনজীবন।
মূলত পাট চাষ করার ফলে পাটের পাতা থেকেই এই শুঁয়োপোকা মানুষজনের বাড়িতে-বাড়িতে ছেয়ে গিয়েছে। ঘর থেকে শুরু করে রান্নাঘর এমন কি ভাতের হাঁড়িতেও শুঁয়োপোকা কিলবিল করছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শুঁয়োপোকার জ্বালায় তাঁদের রাতে ঘুম হচ্ছে না, ঘর, রান্নাঘর থেকে শুরু করে সর্বত্র শুঁয়োপোকা। শিশুদের খাবারে শুঁয়োপোকা। সব মিলিয়ে তাঁরা আতঙ্কিত। আর এরই প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ তাঁদের। তাঁদের দাবি, বারংবার চাষিদের বলা সত্ত্বেও পাট গাছে কীটনাশক দিচ্ছেন না তাঁরা। তাই নবদ্বীপ থানার চর মাজদিয়া, চর ব্রমনগর এলাকায় রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: Tajpur: ভাঙছে পাড়, ডুবছে ঝাউবন! উত্তাল সমুদ্রঢেউ গ্রাস করে নিচ্ছে তাজপুর...
পথ অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান-সহ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ও অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা। চাষিদের সঙ্গে বসে কথা বলেন তাঁরা। সমস্যার সমাধানের আশ্বাস পেলে স্থানীয়রা অবরোধ তুলেও নেন। তবে আগামী দু'দিনের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে তাঁরা।