নিজস্ব প্রতিবেদন : ফেরিঘাটে বস্তায় ভরে পাচার করা হচ্ছিল পচা মাংস। সেইসময় হাতেনাতে ধরা পড়লেন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের সুতাহাটা ফেরিঘাটে। মাংস পাচারের সময় হাতনাতে গ্রেফতার করা ইউনুস আলি নামে এক ব্যবসায়ীকে। পালিয়ে যায় অপরজন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ধৃত ইউনুসের বাড়ি হলদিয়ার হাদিয়ায়। জানা গেছে, এদিন সকালে রায়চক-কুঁকড়াহাটি ফেরিতে অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে একটি বস্তায় ভরে বাসি ও পচা মাংস নিয়ে যাচ্ছিল ইউনুস ও তার সহযোগী। ইউনুসদের গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয় ফেরিঘাটে কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়ারের। বস্তার মুখ খুলতেই নজরে পড়ে পচা মাংস।


আরও পড়ুন, Video: কাজ করতে করতে হঠাত্ই মেশিনে ঢুকে গেল হাত-পা, মৃত্যু শ্রমিকের


পুলিসি জেরার মুখে ইউনুস জানিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের বিভিন্ন জায়গা থেকে মুরগির মাংস সংগ্রহ করত তারা। তারপর সেই মাংস হলদিয়া, চৈতন্যপুরের বিভিন্ন রেস্তরাঁয় সরবরাহ করত। গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে সুতাহাটা থানার পুলিস।


অন্যদিকে, ভাগাড়কাণ্ডে এদিন তমলুকের বিভিন্ন রেস্তোরাঁ ও হোটেলেও তল্লাশি চালায় তমলুক পুরসভা ও দুর্নীতি দমন শাখা। তল্লাশিতে বিভিন্ন জায়গা থেকে পচা মাংস ও ক্ষতিকর রং উদ্ধার করেছেন আধিকারিকরা। ফ্রিজের মধ্যে রাখা প্রায় ৮-১০ কেজি পচা মাংস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এক্ষেত্রেও গ্রেফতার করা হয়েছে ২ রেস্তোরাঁ মালিককে।


আরও পড়ুন, ৮ বছরে ২৪ লাখ! মাকে 'বাঁচিয়ে রেখে' পেনশন তুলে যাচ্ছিল ছেলে


শুধু সুতাহাটা বা তমলুক নয়, উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁতেও এদিন বেশ কয়েকটি রেস্তরাঁয় অভিযান চালানো হয়। সেখানেও বেশ কয়েকটি রেস্তরাঁ থেকে মিলেছে পচা, বাসি মাংস। শুধু তাই নয়, মিলেছে নষ্ট বিরিয়ানিও। আপাতত এই রেস্তরাঁগুলিতে বিকিকিনি বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।