নিজস্ব প্রতিবেদন: অপেক্ষার অবসান। পুণের সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে বিশেষ বিমানে কলকাতায় আসছে প্রায় সাত লক্ষ ভ্যাকসিন। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভিডিও বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রথমে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বাগবাজারে কেন্দ্রীয় মেডিক্যাল স্টোরে প। সেখানে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় তা সংরক্ষণ করা হবে। তারপর রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে পৌঁছবে টিকা। ইতিমধ্যেই সব জেলায় তিনটি করে হাসপাতালে টিকাকরণের মহড়া হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার কাছ থেকে কোভিশিল্ড কিনতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর, প্রতি ডোজ কোভিশিল্ডের (Covishield) দাম ধার্য হয়েছে ২০০ টাকা। প্রাথমিকভাবে সরকারকে ১.১ কোটি ডোজ দেবে সেরাম। আপাতত ২০০ টাকা করে পড়ছে প্রথম ১০ কোটি ডোজের দাম।


আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসাথী (Swasthya Sathi) কার্ডে চিকিৎসা না দিলেই লাইসেন্স বাতিল, ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারি


উল্লখ্য, গতকাল কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধার টিকাকরণের খরচ জোগাবে কেন্দ্রীয় সংখ্যা। প্রথম ধাপে ৩ কোটি কোভিড যোদ্ধাকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে গতকাল জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু বাকিদের কী হবে? বৈঠকে জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। সেই সিদ্ধান্ত পরে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। এর পাশাপাশি দু'টি টিকার মধ্যে কোনটি নিরাপদ, সেই প্রশ্নও করেন মুখ্যমন্ত্রী। নীতি আয়োগের  বিনোদ কে পল তাঁকে আশ্বস্ত করেন, এখনও গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মেলেনি। 


কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড - দু'টি ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে গণটিকাকরণ। কীভাবে টিকা দেওয়া হবে, সংরক্ষণ হবে, তা নিয়েই এ দিন মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi) জানান, ৩ কোটি সামনের সারির কোভিড যোদ্ধার টিকাকরণের যাবতীয় খরচ দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। এ দিন রাজ্যে টিকাকরণ কর্মসূচিতে সরকারি ব্যবস্থাপনার কথাও তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, '৫.৮ লক্ষ সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য কর্মী, ২.৫ লক্ষ পুলিস কর্মী ও ১.২৫ পুরকর্মীর নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে।'