হলদিয়া IOC অগ্নিকাণ্ডে মৃতদের পরিবারপিছু ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ ঘোষণা!
শাটডাউনের ফলে বেশ কয়েকদিন ধরেই রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছিল হলদিয়া তেল সংশোধনাগারে।
নিজেস্ব প্রতিবেদন: হলদিয়া IOC অগ্নিকাণ্ডে(IOC Incident) মৃতদের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করল সংস্থা। অন্যদিকে, যে ঠিকাদার সংস্থার অধীনে তাঁরা কাজ করতেন তাদের তরফ থেকে ৫ লক্ষ টাকা এবং বীমা সংস্থার পক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে পরিবারকে। অর্থাৎ, পরিবার পিছু এক একটি পরিবার মোট ৩০ লক্ষ টাকা করে পাবে। ২১ ডিসেম্বরের এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩ জন শ্রমিকের। অগ্নিদগ্ধ ৪৫। তাঁদের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে।
আরও পড়ুন- Video: Haldia IOC-তে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ঝলসে মৃত্যু ৩ জনের
প্রসঙ্গত, শাটডাউনের ফলে বেশ কয়েকদিন ধরেই রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছিল হলদিয়া তেল সংশোধনাগারে। মঙ্গলবার বিকেলেও সেখানেই ওয়েলডিং কাজ চলছিল। তখনই আগুনের ফুলকি গিয়ে পড়ে সংলগ্ন ন্যাপথা ইউনিটে। সঙ্গে সঙ্গেই প্রবল বিস্ফোরণে দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে শুরু করে সেখানে। আগুনে ঝলসে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ৩ শ্রমিক। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ৪৫ জনকে।
প্রশ্ন উঠে, গত বছরের মতো এবারও একইরকম ভাবে শাটডাউনের সময় কেনও দুর্ঘটনা ঘটল। ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে। তমলুকের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী শুক্রবার হলদিয়ায় সংস্থার পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে এই বিষয়ে একটি বৈঠকে বসেন। কথা হয় বারবার কেনও দুর্ঘটনা হচ্ছে তা নিয়ে। সেই সঙ্গে মৃতদের পরিবারকে এবং আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টিও ঠিক করা হয় সেখানে। বৈঠক শেষে তিনি বলেন,হলদিয়ার সমস্ত পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোলিয়ামজাত পদার্থের কারখানায় কর্তৃপক্ষ ও এজেন্সিগুলিকে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, নিরাপত্তার বিষয়ে নির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করতে কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের তরফে একটি কর্মশালার আয়োজন করা উচিত। সেখানে ঠিক হবে, শাটডাউনের সময় কী করা উচিত, কী করা উচিত নয়। সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী আরও বলেন, যে সমস্ত ঠিকা কর্মীদের শাটডাউনের কাজে লাগানো হয়, তাদের কাজে যোগ দেওয়ার আগে একটা ইন্টারভিউ নেওয়া দরকার।