ই. গোপি: সবংয়ে বিজেপি নেতার রহস্যমৃত্যুতে তোলপাড়। দীপক সামন্তের প্রতিবেশী সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবার মৃত্যুর আগে থেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন দীপক। কিছুদিন আগে বাবার মৃত্যু যায়। আজ সকালে দীপক নিজে স্নান করার পর মাকে স্নান করতে বলেন। মা স্নান করতে যাওয়ার পরই নিজের ঘরে ঢুকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয় দীপক সামন্ত। প্রতিবেশীদের দাবি, গত ২ বছর আগে বিজেপি করতেন দীপক। সেই সূত্রে তাঁর বাড়িতে লোকজন আসা যাওয়া করত। কিন্তু এখন আর কোনও রাজনৈতিক দল করতেন না দীপক সামন্ত। ওদিকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিসও জানিয়েছেন,  "মৃতের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। মৃতের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে দুই বৌমার নামে মামলা শুরু হয়েছে।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যদিও সবংয়ে বিজেপি বুথ সভাপতি খুনের ঘটনায় হাইকোর্টে যাওয়ার ও পুলিসকে মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতী ঘোষ! বৃহস্পতিবার সবং ব্লকের বলপাই অঞ্চলের পানিথর এলাকায় বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তারপর থেকে পরিবারের সদস্য ও বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলে। এই ঘটনার পর থানা ঘেরাও করে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে আসেন বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ। তিনি তোপ দাগেন, বিজেপি কর্মী দীপক সামন্তর পরিবার অনেকদিন ধরেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হুমকির মুখে পড়েছে। বার বার থানায় অভিযোগ জানানোর পরেও পুলিস প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ইতিমধ্যে দীপক সামন্তর স্ত্রী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা হাইকোর্টে যাব। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেফতার না করা হলে পুলিসকেও এই কেসের আসামী হতে হবে।


পাশাপাশি, সবংয়ে বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এটা একেবারে তৃণমূলের পুরনো কায়দা। এর আগেও পুরুলিয়াতে ২০২১-এ ভোটের পরে সংগঠিত করেছিল। আমরা পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি করছি। আমরা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। এটা আমরা রাজনৈতিকভাবে এবং আইনগতভাবে যা করার করব। প্রসঙ্গত,  পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থানার ৯ নম্বর বলপাই অঞ্চলের পানিথর বুথে এলাকায় ৩৫ বছরের দীপক সামন্তর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় এদিন। 


মৃতের পরিবারের দাবি, দীপককে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে! যদিও বিজেপি নেতার খুনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। এপ্রসঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, "এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। পারিবারিক বিবাদের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। বিজেপি এই নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে।' এদিকে সবং-এর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের কাছে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। 


আরও পড়ুন, মুখ্যসচিব পদে হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদির এক্সটেনশন এখনও ঝুলে! উত্তরের অপেক্ষায় নবান্ন



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)