নিজস্ব প্রতিবেদন: ক্ষমতা থেকে সরার পর থেকেই রক্তক্ষরণ চলছিল সিপিএমের। সবংয়ে সিপিএম উঠে এল দ্বিতীয় স্থানে। তারা ভোট পেল ৪১ হাজার ৯৮৭টি। রাজনৈতিক মহলের মতে, সবংয়ের নির্বাচন কিছুটা হলেও অক্সিজেন দিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিটকে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস-সিপিএমের জোটপ্রার্থী মানস ভুঁইঞা পেয়েছিলেন ১,২৭,৯৮৭টি ভোট। নিকটতম তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছিলেন ৭৭,৮২০টি। প্রবল ঘাসফুল ঝড়েও নিজের গড় অক্ষত রেখেছিলেন মানস। ২০১১ সালে  বিধানসভা ভোটে মানস ভুঁইঞা পেয়েছিলেন ৯৮,৭৫৫টি ভোট। তখন তিনি ছিলেন কংগ্রেস-তৃণমূল জোটপ্রার্থী। ৮৫,৫৭১টি ভোট পেয়েছিলেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএমের প্রার্থী রামপদ সাহু। ২০০৬ সালে 'ব্র্যান্ড বুদ্ধে'র জমানায়  সিপিএম পেয়েছিল ৬২,০৭৯টি ভোট। সেবার ৬৮,৫৯২টি ভোট পেয়ে জিতেছিলেন মানস ভুঁইঞা।  


আরও পড়ুন- সবং উপনির্বাচনে দ্বিতীয় স্থানে সিপিএম, বিপুল ভোট বাড়ল বিজেপির


মাস কয়েক আগে কাঁথি দক্ষিণে উপনির্বাচনে জামানত জব্দ হয়েছিল সিপিএমের উত্তম প্রধানের। তিনি পেয়েছিলেন পেয়েছিলেন ১৭,৪২৩টি ভোট। সেখানে  ৫২,৮৪৩ দ্বিতীয়স্থানে উঠে এসেছিল বিজেপি। অনেকেই তখন বলেছিলেন, বামেদের ভোটই পড়েছে রামের ইভিএমে। এই পরিস্থিতিতে সবংয়ে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিল বামেরা।   


আরও পড়ুন- সবংয়ে সবুজ ঝড়, স্বামী মানসকে টপকে রেকর্ড ভোটে জয়ী স্ত্রী গীতা


রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ভোটের এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, বিজেপির উত্থান সত্ত্বেও সবংয়ে নিজেদের কোর ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে পেরেছে বাম শিবির। রাজ্যে সিপিএমের সংগঠনের সেই জোর আর নেই, যা ২০১১ সালে ছিল। ভাঙা সংগঠন নিয়েও ৬ বছর পরও নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে বামেরা। ২০০৬ সালের চেয়ে ২০ হাজার ভোট কমেছে। ক্ষমতা চলে যাওয়ার পর যা স্বাভাবিক। সবমিলিয়ে সবং নির্বাচনের ফল নিশ্চিতভাবেই অক্সিজেন দেবে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটকে। তবে কোর ভোটব্যাঙ্ক ধরে রেখে দলের শ্রীবৃদ্ধি ঘটাতে হলে নেতাদের আরও সচেষ্ট হতে হবে, মনে করেন রাজনীতির কারবারিরা।