বাম-কংগ্রেস আসনরফা ১৯৩টি আসনে চূড়ান্ত, ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডে বাম-কং জনসভাও
ব্রিগেডে প্রথমবারের জন্য বাম-কংগ্রেস মিলিত জনসভা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হল আসন-রফা। নেওয়া হল যৌথ ব্রিগেড জনসভার সিদ্ধান্তও।
ঐতিহাসিক? রাজ্য বিধানসভা ভোটের নিরিখে বাম-কংগ্রেস বন্ধুত্ব নিয়ে সম্ভবত ব্যবহার করাই চলে এই শব্দটি।
বৃহস্পতিবারের বাম-কং (left-cong alliance) বৈঠক থেকে জানা গেল, ১৯৩টি আসনে চূড়ান্ত সমঝোতা হয়েছে দু'দলের। যদিও আরও আলোচনা বাকি। আরও ১০১টি আসন নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে ২৮ ফেব্রুয়ারি বাম-কংগ্রেস যৌথ ব্রিগেডসভার (brigade) যে সম্ভাবনার কথা আগেই শোনা গিয়েছিল তাতে সিলমোহর পড়ল এই বৈঠকে। বাম-কং দু'পক্ষের মুখেই শোনা গেল 'ব্রিগেড চলো'র 'ঐতিহাসিক' ডাক। তবে যে তিন জেলা নিয়ে সমস্যা ছিল, সেই পুরুলিয়া, মালদা, মুর্শিদাবাদ নিয়ে জট এখনও কাটেনি।
আসন-জট ছাড়াতে সোমবারই বৈঠকে বসেছিল বাম-কংগ্রেস। সেদিন ৭৭ আসনে রফাসূত্র মিলেছিল। কংগ্রেস ৪৪টি এবং বামেদের ৩৩টি। সেদিনই ঠিক হয়েছিল ২৮ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার ফের দু'পক্ষের বৈঠক বসবে। সেই মতো বৈঠক হল বৃহস্পতিবার। এবং জট অনেকটাই কাটল বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক মহল। কেননা, কংগ্রেস আরও ৪৮টি এবং বামেরা আরও ৬৮টি আসন নিয়ে রফা করল।
Also Read: 'গ্রেটার বাংলাদেশের লক্ষ্যে লড়ছেন মাননীয়া', ফেসবুকে বিস্ফোরক Dilip Ghosh
বামেদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বাকি আসনগুলিতে রফা হয়ে যাবে ফেব্রুয়ারিতেই পুরো তালিকা তৈরি হয়ে যাবে। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (biman bose)জানান, তৃণমূল ও বিজেপিবিরোধী যারা এই বাম-কং জোটে যুক্ত হতে চায় তাদের নিয়েই পরবর্তী সমঝোতা করা হবে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)এই বৈঠকের পরে জানান, ১৯৩টি আসনে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সফল পদক্ষেপ। এর পরে অধীর আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে বলেন, এক বৃন্তে দু'টি ফুল-- তৃণমূল আর পদ্মফুল; এরা বাংলাকে শেষ করে দিচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রুটি রুজি নিয়ে এদের চিন্তা নেই।
আসন-জট ছাড়াতে সোমবারই বৈঠকে বসেছিল বাম-কংগ্রেস দুই দল। সেখানে ঠিক হয়, গত বিধানসভা ভোটে জেতা আসনগুলির হাতবদল করা হবে না। অর্থাৎ ২০১৬ সালের ভোটে কংগ্রেসের (Congress)জেতা ৪৪টি আসনে তারাই প্রার্থী দেবে। আবার বামেদের (Left)জেতা ৩৩টি আসনে প্রার্থী দেবে ফ্রন্টই। বাকি ২১৭টি আসনে কী হবে? তা নিয়েই দরকষাকষি। শরিকদের কথাও মাথায় রাখতে হচ্ছে সিপিএমকে (CPM)।
আসন-রফায় জটিল অঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও পুরুলিয়া জেলা। কারণ এই জেলাগুলিতে দু'পক্ষই শক্তিশালী। ফলে সমাধানসূত্র মেলা কঠিন হচ্ছে। ঠিক হয়েছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার ফের দু'পক্ষের বৈঠক বসবে। আজ বৃহস্পতিবার বৈঠক হল বটে তবে তিন জেলা নিয়ে তেমন আশার আলো কিছু এখনও দেখা গেল না। কংগ্রেস মালদহে তার একাধিপত্য ছাড়তে চায় না বলেই খবর। এই মর্মে দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে নিজেদের মনোভাব স্পষ্টও করেছেন সংশ্লিষ্ট নেতারা। ফলে এখন সামনের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। দেখতে হবে, আগামী দিনে আর কী কী ক্ষেত্রে ইতিবাচক সমঝোতাসূত্র বেরিয়ে আসে।
Also Read: বিধানসভা অধিবেশনে তাপসের বক্তব্য বাতিল করলেন স্পিকার