Siliguri: প্রকাশ্যে চুরি হচ্ছে মহানন্দা, খবর নেই প্রশাসনের কাছে
এলাকা শিলিগুড়ি হলেও তৃতীয় মহানদা সেতুর নির্দিষ্ট দফতর জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শিলিগুড়ির শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে যায় মহানন্দা নদী। নৌকাঘাট ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা দিয়েও বয়ে গিয়েছে এই নদী । শহরের প্রাণকেন্দ্রে মহানন্দা নদীর এক রকম সমস্যা, অন্যদিকে নৌকাঘাট সংলগ্ন অঞ্চলে নদীর অন্যরকম সমস্যা। বালি মাফিয়াদের সমস্যায় জেরবার মহানন্দা।
রাতের অন্ধকারে নদী চুরির ঘটনা আকছার হয়। কিন্তু বুক ফুলিয়ে মাফিয়ারাজ এভাবে শহরবাসী আগে দেখেনি। তৃতীয় মহানদা সেতুর পাশেই চলছে আর্থ মুভার ও পোখলেন নামিয়ে নদী খননের কাজ। নদীগর্ভ থেকে জনসমক্ষে হচ্ছে নদী চুরি। কারা সাহস যোগাচ্ছে সেই বিষয়ে ঘাটের লিজ মালিকের প্রতিনিধি জানিয়েছেন , "আমাদের কাছে অনুমতি রয়েছে নদীতে আর্থ মুভার অথবা পোখলেন নামিয়ে কাজ করার, আপনাদের যা জিজ্ঞাস্য রয়েছে তা আপনারা নির্দিষ্ট দফতরকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করুন।"
এলাকা শিলিগুড়ি হলেও তৃতীয় মহানদা সেতুর নির্দিষ্ট দফতর জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জে। রাজগঞ্জের বিডিও পঙ্কজ কুমারকে এই ঘটনার বিষয়ে জানালে তিনি প্রমাণ হিসেবে ছবি চান। ছবি দেখানোর পরে তিনি নদী সংক্রান্ত রাজগঞ্জ ব্লকের রেভিনিউ অফিসরা ঋতম সেনগুপ্তকে ঘটনা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন।
ঘটনাস্থলে যান রেভিনিউ আধিকারিকদের একটি দল। তারা গিয়ে নদীগর্ভে আর্থ মুভার বা পোখলেন নামাবার নির্দেশিকার কাগজ দেখতে চান লিজ আধিকারিকদের কাছে। যদিও সেই নির্দেশিকা দেখাতে পারেনি তারা। রেভিনিউ অফিসার ঋতম সেনগুপ্ত জানান, "নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে উপর মহল নির্দেশ এসেছে বিষয়টি খতিয়ে দেখাঁর, আমরা স্পটে এসে পর্যবেক্ষণ করি, কিন্তু কোন আর্থ মুভার অথবা পোখলেন পাইনি আপাতত। লিজ মালিক কোন কাগজ দেখাতে পারেনি। তবে আমরা মাঝে মধ্যেই এখানে আসি, কিছু পাইনা। হয়ত আমাদের আসার খবর আগে থেকে পাওয়া যায়। তবে এই বিষয় নিয়ে তদন্ত হবে।"
আরও পড়ুন: ছাদে ঘুমিয়ে স্বামী, হঠাৎ চিৎকার শুনে স্ত্রী-সন্তান দৌড়ে গিয়ে দেখলেন 'বীভৎস' দৃশ্য!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এলাকাবসী এবং এই ব্যাবসার সঙ্গে জড়িত বাক্তিদের বক্তব্য শিলিগুড়ি থেকে আসা নির্দেশ অনুযায়ী এরা কাজ করে। তাদের দাবি শিলিগুড়ির যুব থেকে প্রবীণ তৃনমূল নেতাদের কাছ থেকে সাহস পাচ্ছে মাফিয়ারা। যে যুব তৃনমূল নেতারা বালি মাফিয়া থেকে কাউন্সিলর অথবা অন্য বড় পদে গিয়েছে তারাই এর পিছনে রয়েছে বলে অভিযোগ।
শাসক দলের নাম জড়াতেই মেয়র গৌতম দেবকে এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাফ জানান, তিনি কোন কিছু জানাতে নারাজ।