ছাদে ঘুমিয়ে স্বামী, হঠাৎ চিৎকার শুনে স্ত্রী-সন্তান দৌড়ে গিয়ে দেখলেন 'বীভৎস' দৃশ্য!
আওয়াজ শুনে ছাদে ছুটে গিয়ে দেখেন ভয়ঙ্কর অবস্থা! এই ঘটনায় দুই পরিচিতের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন স্ত্রী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নিজের বাড়িতেই খুন হয়ে গেলেন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের সালানপুর থানার অন্তর্গত চিতলডাঙা গ্রামের গোয়ালা পাড়ায়। মৃতের নাম মনোজ পাতর। বয়স ৩৫ বছর।
জানা গিয়েছে, নিজের একতলা বাড়ির ছাদেই রক্তাক্ত অবস্থায় মনোজ পাতরের দেহ উদ্ধার করে পুলিস। বুধবার রাতে মনোজ পাতর বাড়ির ছাদে শুয়েছিলেন। হঠাৎ তাঁর চিৎকারের আওয়াজ শুনতে পান স্ত্রী ও সন্তান। আওয়াজ শুনে ছাদে ছুটে গিয়ে দেখেন ভয়ঙ্কর অবস্থা! ছাদের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন মনোজ পাতর! বীভৎস এই দৃশ্য দেখে স্ত্রী-সন্তান চিৎকার করে উঠলে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরাও।
খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থলে আসে সালানপুর থানার পুলিস। পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদেহের গায়ে ছুরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এই ঘটনায় দুই পরিচিতের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন মৃতের স্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, সামডির নিরঞ্জন পাল ও কাঞ্চন পাল নামক দুই ব্যক্তির কাছে কিছু টাকা ধার নিয়ে ছিলেন স্বামী। বুধবার তাদের সাথে ঝামেলাও হয়। তারাই সম্ভবত তাঁর স্বামী মনোজ পাতরকে খুন করেছে বলে অভিযোগ করেন স্ত্রী মুনমুন পাতর।
এখন, চিতলডাঙা গ্রামের পাশের এলাকা থেকেই দু' পা ভাঙা অবস্থায় এক যুবককে দেখতে পান এলাকার মানুষজন। ওই যুবক মনোজ পাতর খুনের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে অনুমান করে তাকে উত্তম-মধ্যম দেয় এলাকাবাসী। পরে খবর পেয়ে রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির পুলিস ঘটনাস্থলে এসে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম নিরঞ্জন পাল। সামডি গ্রামের বাসিন্দা। মৃতের স্ত্রী মুনমুন পাতোর জনৈক নিরঞ্জন পালের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে নিরঞ্জন পালকে আটক করেছে পুলিস।
আরও পড়ুন, 'মরণফাঁদ' মা! টার্নের গতিতে ছিটকে উড়ালপুল থেকে সোজা নীচে, মৃত্যু বাইক সওয়ারি যুবকের