Jalpaiguri: প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে বালি চুরি চলছেই...
Jalpaiguri: বেআইনি ভাবে নদী থেকে বালি উত্তোলন চলছেই। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন গৌরীহাট-সংলগ্ন করলা নদী থেকে এভাবেই দিনের পর দিন বেআইনি ভাবে বালি পাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বেআইনি ভাবে নদী থেকে বালি উত্তোলন চলছেই। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন গৌরীহাট-সংলগ্ন করলা নদী থেকে এভাবেই দিনের পর দিন বেআইনি ভাবে বালি পাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ। এ নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার সাতসকালে বেআইনি ভাবে বালি পাচার হওয়ার দৃশ্য উঠে এসেছে জি ২৪ ঘণ্টার ক্যামেরাতেও।
আরও পড়ুন: Purulia: আপনার ঘরের কাছের রেলস্টেশনের এমন ভোলবদল যে চিনতেই পারবেন না!
যেসব গাড়ি এই বালি তোলার সঙ্গে কাজ করছে, ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, তাদের প্রায় কারওরই নেই গাড়ির ঠিকঠাক কাগজপত্র, নেই বালি উত্তোলনের বৈধ অনুমতিপত্রও। গাড়ির চালক বলছেন, মালিকের কথাতেই চলছে এ ধরনের বেআইনি কাজ। আবার মালিকের নাম-পরিচয় জানতে চাওয়া হলে তিনি উল্টে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, শাসকদলের নেতাই এই কাজের সঙ্গে যুক্ত।
এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে, জলপাইগুড়ি বিজেপি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী শাসকদলের নেতা এবং প্রশাসনের একাংশকেই দোষারোপ করেন। তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমই এসব প্রশাসনের নজরে আনে। আর তারা এসব তুলে ধরে বলেই সেসবের জেরে প্রশাসন নড়েচড়ে বসে।
তবে প্রশাসনিক ভাবে জানানো হয়েছে, নিয়মিত রিভারবেডে অভিযান চালান বিএলআরও দফতরের আধিকারিকেরা। জলপাইগুড়ি সদর বিএলআরও দফতরের রেভিনিউ অফিসার অরূপ সমাদ্দার জানান, দফতরের তরফে প্রতিদিনই অভিযান করা হয়ে থাকে। তবে, তা সত্ত্বেও বেআইনি ভাবে বালি উত্তোলন যে হয়, তা কার্যত স্বীকারও করে নিয়েছেন তিনি। তার পরেও তিনি জানান, তাঁরা অভিযান চালিয়ে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে চলেছেন।
আরও পড়ুন: Jhargram: চারপাশে আবর্জনা, হাঁস-মুরগি, পোকামাকড়! এমন জায়গায় আইসিডিএসে'র রান্না?
যেমন, বুধবারই জলপাইগুড়ি গৌরীহাট-সংলগ্ন করলা নদীতে অভিযানে নামে বিএলআরও দফতর। এসে লক্ষ্য করে, বেশ কয়েকটি গাড়ি এখানে বালি তুলতে নেমেছিল, কিছু বেলচাও পাওয়া গিয়েছে। অরূপ সমাদ্দার জানান, এই ধরনের অভিযান লাগাতার চলবে।