নিজস্ব প্রতিবেদন: মাত্র ১৫০ ভোট। এই কটা ভোটের জন্যই কি হিংসা? মৃত্যু মিছিল? ন্যাজাটে পিছিয়ে থাকার কারণ খুঁজতেই শনিবার বৈঠকে বসেছিল তৃণমূল। এরপর দুদলের সংঘর্ষ। গুলি। ভাঙচুর। বিজেপির অভিযোগ, ন্যাজাটের ওই বুথে দেড়শো ভোটে হার মেনে নিতে পারেনি তৃণমূল। সে কারণেই পরিকল্পনা করে হামলা চালানো হয়েছে।          


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সন্দেশখালিতে সমস্ত জায়গায় লিড নিলেও ন্যাজাটে যেখানে সংঘর্ষ হয়েছে, সেখানেই একটি বুথে মাত্র ১৫০ ভোটে পিছিয়ে তৃণমূল। পিছিয়ে থাকার কারণ খুঁজতে শনিবার বুথস্তরে চলছিল কর্মিসম্মেলন। সে সময়ে পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে বাঁধে অশান্তি। বিজেপির অভিযোগ, তাদের পতাকা খুলতে এসেছিল তৃণমূলের লোকজন। বাধা দেওয়ায় গুলি চালায় তারা। নিজেদের গুলিতে মারা যায় তৃণমূল কর্মী কায়ুম মোল্লা। তৃণমূল আবার দাবি করেছে, কর্মিসভা থেকে কায়ুম মোল্লাকে টেনে নিয়ে গিয়ে গুলি করে বিজেপির চার-পাঁচজন দুষ্কৃতী। 



সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে বিজেপির প্রদীপ মণ্ডল (৩৬) ও সুকান্ত মণ্ডলের (২৮)। এখনও নিখোঁজ দেবদাস মণ্ডল। তাঁর স্ত্রীর দাবি, কাদের মোল্লার নেতৃত্ব দলবল হামলা চালিয়েছে। ভাঙচুর করেছে বাড়ি। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, ভোট দিতে যেতে বারণ করেছিল তৃণমূল। কিন্তু তাঁরা বিজেপিকেই ভোটটা দিয়েছিলেন। উঠে আসছে শেখ শাহাজাহানের নামও। বিজেপির দাবি, শেখ শাহাজাহানের নেতৃত্বেই তাঁর দলবদল হামলা চালিয়েছে। শাহাজাহান অবশ্য জি ২৪ ঘণ্টায় সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাঁর দাবি, ঘটনাস্থলেই ছিলেন না।


ন্যাজাটের ঘটনার সঙ্গে নন্দীগ্রামের তুলনা টেনে মুকুল রায় এদিন বলেন,''আজ দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে পাঁচজনের দল গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমাণ করলেন গণতন্ত্র হত্যার জন্য তিনি একাই যথেষ্ট। আমাদের কাছে খবর কাল পাঁচজন নিহত হয়েছেন। দু’জনে দেহ দেখেছি। তিনজনের দেহ নেই। নন্দীগ্রামের ঘটনার পুনরাবৃত্তি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়''। 


রবিবার নবান্নে উপদেশ বার্তা পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তাদের পরামর্শ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও শান্তি ফেরাতে সব ধরনের পদক্ষেপ করুক প্রশাসন। কোনও অফিসারের কাজে গাফিলতি পাওয়া গেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের উপদেশের নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। 


আরও পড়ুন- শীতলকুচিতে বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলিতে আহত ২, অভিযুক্ত তৃণমূল