নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলায় ৯৮। ইংরাজিতে ৯৭। অঙ্কে একাবারে একশোয় ১০০। ভৌত ও জীববিজ্ঞান, দুটিতেই ৯৯। আর বাকি দুই বিষয়, ইতিহাস আর ভূগোলে ৯৮। সবমিলিয়ে সঞ্জীবনী দেবনাথের প্রাপ্ত নন্বর ৬৮৯। গড় ৯৮.৪ শতাংশ। কি, অবাক হচ্ছেন তো? অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে? তবে এটাই সত্যি। মাধ্যমিকে ৬৮৯ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছে কোচবিহারের দেবনাথ পরিবারের মেয়ে সঞ্জীবনী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


সঞ্জীবনী দেবনাথের মার্কশিট


এই মেয়েই এখন গোটা রাজ্যের চোখেমণি। আর হবে নাই বা কেন? এমন তাক লাগানো রেজাল্ট কজনই বা করতে পারে! তবে নিজে কি কখনও ভেবেছিলেন, এমন ফল হবে?


সঞ্জীবনীর স্বতঃস্ফূর্ত উত্তর, ‘না’। কস্মিনকালেও ও ভাবেনি মাধ্যমিকে গোটা রাজ্যে প্রথম হবে। তবে হ্যাঁ, পরীক্ষার প্রস্তুতিতে যে কোনও কার্পণ্য করা যাবে না, সেবিষয়ে সদা সজাগ ছিল সঞ্জীবনী। “যখন যেমনটা মন চেয়েছে তখন ততটাই পড়াশুনা করেছি”, জানিয়েছে সুনীতি অ্যাকাডেমির এই মেধাবী ছাত্রী। গতে বাঁধা নিয়মের ধার পাশ না মারিয়েই যে সাফল্য পাওয়া যায় তার জলজ্যান্ত উদাহরণও রেখেছে এই মেয়ে।


দেখে নিন- মাধ্যমিকের মেধা তালিকা


অবিশ্বাস্য রেজাল্টে স্বাভাবিকভাবেই খুশি সঞ্জীবনী। আর এমন বেনজির  সাফল্যে ও কৃতিত্ব দিচ্ছে স্কুল শিক্ষিকা, গৃহ শিক্ষক সহ বাবা-মাকেই।     


উল্লেখ্য, সঞ্জীবনীর সতীর্থরাও মেধা তালিকায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছে। প্রথম দশে স্থান পাকা করেছে সুনীতি অ্যাকেডেমিরই ৪ জন পড়ুয়া। সঞ্জীবনীর থেকে মাত্র ২ নম্বর কম পেয়ে তৃতীয় স্থানাধিকারী হয়েছে ওর-ই সহপাঠী ময়ূরাক্ষী।


আরও পড়ুন- মাধ্যমিকে জেলার জয়জয়কার, বেড়েছে মেয়েদের পাশের হার, প্রথম কোচবিহারের সঞ্জীবনী দেবনাথ


স্কুলে প্রতিযোগিতা ছিল? সঞ্জীবনীর কথায়, “কোনও প্রতিযোগিতাই ছিল না। আমরা সবাই সবার বন্ধু”।


শান্ত ও হাসিখুশি সঞ্জীবনী পড়াশুনার পাশে সংগীতচর্চাও করে। ফোন খোটাখুঁটির অভ্যাস নেই ওর। আর সোশ্যাল মিডিয়া? নৈব চ। নৈব চ। ফেসবুক করা তো দূর, কোনও অ্যাকাউন্টই নেই। মোবাইলের হোয়াটসঅ্যাপেও এখনও পর্যন্ত পাওয়া যাবে না ওকে। আগামীতে বাবার স্বপ্ন সফল করে ডাক্তার হতে চায় কোচবিহারের দেবনাথ পরিবারের মেয়ে সঞ্জীবনী।


আরও পড়ুন- ২০১৯-এ মাধ্যমিক কবে থেকে শুরু? জেনে নিন সম্পূর্ণ পরীক্ষাসূচি