নিজস্ব প্রতিবেদন:   নদিয়ার শান্তিপুরে  অন্তঃসত্ত্বার সামনে পঞ্চব্যঞ্জন সাজিয়ে ছবি তুলে থালা সরিয়ে নেওয়ার বিতর্কে এবার মুখ খুললেন রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। অঙ্গণওয়াড়ি আধিকারিকের সুরেই তিনি বললেন, “বিষয়টি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। একজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলার কেমন খাবার খাওয়া উচিত, শুধুমাত্র তাই দেখানোর জন্য ছবিটি তোলা হয়েছিল।  কিন্তু প্রত্যেক  অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি থেকে প্রত্যেক গর্ভবতীকে এই খাবার দেওয়ার মতো আর্থিক সঙ্গতি রাজ্যের নেই।” তিনি আরও বলেন, “ওখানে যা করার কথা ছিল,সেটাই করা হয়েছে।”


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



কিন্তু তাতেই উঠছে একাধিক প্রশ্ন। একজন অন্তঃসত্ত্বার সামনে পঞ্চব্যঞ্জন সাজানো হল কেবলমাত্র ছবি তোলার জন্য? তারপর সেই থালা সরিয়ে দেওয়া হল ডিম ভাত! রাজ্য সরকার কীভাবে এই ধরনের কাজ করতে পারে? বিরোধীদের একাংশের দাবি, এটি অত্যন্ত নিম্ন মানসিকতার লক্ষণ। অঙ্গণওয়াড়ি আধিকারিক তো বটেই, একজন মন্ত্রী হয়েও শশী পাঁজা কীভাবে এত সহজে এই কথা বলতে পারলেন? তবে কি রাজ্য সরকারের কোনও দায় নেই এর পিছনে? এই  বিতর্ক নতুন সংযোজন শশী পাঁজার মন্তব্য। একটি দুঃস্থ পরিবারের সদস্যের সামনে পঞ্চব্যঞ্জন সাজিয়ে শুধুমাত্র ছবি তুলে, সেই খাবার খেতে দেওয়া হল না, দেওয়া হল ডিম ভাত! এটি অত্যন্ত লজ্জার। আমাদের সংস্কৃতিতে তা একেবারেই বেমানান, বলছেন নেটিজেনরা


রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে সুপুষ্টি দিবস পালন। সরকারি আয়োজনকে কেন্দ্র করে এক চরম অমানবিক ঘটনার সাক্ষী হল নদিয়ার শান্তিপুর। অনুষ্ঠান উপলক্ষে আগের রাতেই এলাকার ২০ জন প্রসূতিকে নিমন্ত্রণ করে এসেছিলেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। জানানো  হয়েছিল পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হবে তাঁদের। পরদিন দুপুরে শান্তিপুর ব্লকের ৪৬১ সেন্টারে সেই মতোই হাজিরও হয়েছিলেন তাঁরা। পঞ্চব্যঞ্জন, দই, মিষ্টির সমাহারে সুসজ্জিত থালার সামনে একে একে বসানো হয় তাঁদের। তোলা হয় খেতে বসার ছবিও। কিন্তু এরপর যা ঘটল তাতে অবাক সবাই। 


ট্রলি ব্যাগ থেকে চুঁইয়ে বেরোচ্ছে রক্ত, নরেন্দ্রপুরে বাগানবাড়িতে উদ্ধার দম্পতির টুকরো টুকরো দেহ


অভিযোগ, ছবি তোলার পর ওই গর্ভবতী মহিলাদের একজন ওই খাবার খেতে গেলেই বাধা দেন কর্মীরা। কর্তৃপক্ষের তরফে সাফ জানানো হয় থালায় সাজানো খাবারটি খাওয়ার জন্য নয়, শুধুই ছবি তোলার জন্য। বদলে প্রসূতিদের হাতে ধরানো হয় ডিমের ঝোল আর ভাতের প্যাকেট। যাতে অপমানিত বোধ করেন প্রসূতি ও তাঁদের পরিজনরা। শান্তিপুরের ভগবতী দাস রোডের বাসিন্দা মৌমিতা সাধুখাঁ নামে এক প্রসূতি অপমানিত হয়ে খাবার না খেয়েই বাড়ি ফিরে যান। বাড়ি ফিরে তাঁর স্বামী বিশ্বজিত্‍ সাধুখাঁকে জানান সমস্ত ঘটনা। এরপর স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলেই আইসিডিএস অফিসে অভিযোগ জানান।


এপ্রসঙ্গে,  জেলা অঙ্গনওয়াড়ি আধিকারিক ভাস্কর ঘোষ বলেন,  “ভুল বোঝাবুঝির জায়গা থেকে ঘটনাটা ঘটেছে। একজন গর্ভবতী মায়ের কী ধরনের খাবার খাওয়া উচিত সেটা শুধুমাত্র ডিসপ্লে করবার জন্যই হয়েছিল।  এবং সেন্টারের যা খাবার সেটাই দেওয়া হয়েছে।”