নিজস্ব প্রতিবেদন:   সাঁতরাগাছি স্টেশনে ফুটব্রিজে প্রবল ঠেলাঠেলিতে পদপিষ্ট হয়ে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। আহত হয়েছেন আরও ১২ জন। তাঁদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আহতদের মধ্যে দশ বছরের এক বালকও রয়েছে। তারও শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার বাড়ি ৪/২/এ রাধাপ্রসাদ লেনে। অন্যদিকে, আমর্হাস্ট স্ট্রিটের বাসিন্দা আকসত সাউ, সাঁতরাগাছি সরকারি কোয়ার্টারের বাসিন্দা গৌরনিতাই সাহার অবস্থা আসঙ্কাজনক। তাঁরা হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।


উলুবেড়িয়ার বাসিন্দা একরামুল হকের চোখে মারাত্মক আঘাত লেগেছে। কপালে চোট রয়েছে। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: সাঁতরাগাছিতে ফুট ব্রিজে পদপিষ্ট হয়ে মৃত ২, হেল্পলাইন চালু করল রেল


মঙ্গলবারই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে  তাশার সর্দার নামে মুর্শিদাবাদের এক বাসিন্দা ও পূর্ব মেদিনীপুরের কমলাকান্ত সিংহ নামে বছর বিয়াল্লিশের এক ব্যক্তির।  নিহতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে  ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাঁতরাগাছি স্টেশনে একই সঙ্গে ৮ টি ট্রেন ঢুকে পড়ে। কয়েক ফুট চওড়া ফুট ব্রিজের ওপর  প্রচুর যাত্রী একসঙ্গে উঠে পড়লে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। প্রবল ঠেলাঠেলিতে দুর্ঘটনাটি ঘটে।  এই ঘটনায় রেলের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে বলেই অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য,  মঙ্গলবারের সাঁতরাগাছি স্টেশনের দুর্ঘটনা বছর খানেক আগের মুম্বইয়ের এলফিনস্টোন ফুট ব্রিজে বিপর্যয়ের ঘটনা মনে করিয়ে দিল।