Sarisha Ramakrishna Mission: শতবর্ষ আগে পথচলা শুরু করেছিল সরিষা রামকৃষ্ণ মিশন! আজও ছড়িয়ে চলেছে জ্ঞানের আলো...
Sarisha Ramakrishna Mission Sikshamandir Centenary: শতবর্ষ পেরল সরিষা রামকৃষ্ণ মিশন শিক্ষামন্দির। ১০০ বছরের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন আশ্রমের আবাসিক শিক্ষক ও অগণিত ছাত্ররা।
নকিব উদ্দিন গাজি: শতবর্ষ পেরিয়েও জ্ঞানের আলোকে আলোকিত করে চলেছে সরিষা রামকৃষ্ণ মিশন শিক্ষামন্দির। শতবর্ষ পূর্তির দিনে সকালে এক বর্ণাঢ্য প্রভাতফেরির মধ্য দিয়ে ১০০ বছরের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন আশ্রমের আবাসিক শিক্ষক ও অগণিত ছাত্ররা। এই শোভাযাত্রায় পা মিলিয়েছেন অনেক প্রাক্তনীও।
আজ থেকে ১০০ বছর আগে, ১৯২৩ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সরিষা গ্রামে পথচলা শুরু হয়েছিল সরিষা রামকৃষ্ণ মিশনের। তবে আশ্রমের প্রথম প্রদীপ জ্বলেছিল ১৯২১ সালেই। ১৯২১ সালের ২৫ ডিসেম্বর স্বামী গণেশানন্দজী মহারাজের হাত ধরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সরিষার মতো এক প্রত্যন্ত গ্রামে গড়ে উঠেছিল এই সরিষা রামকৃষ্ণ মিশন।
এর পরবর্তী কয়েক দশক ধরে শুধু সাধারণ শিক্ষা নয়, জ্ঞান-ধর্ম-ঐতিহ্য-সংস্কৃতির আলোকে সরিষা রামকৃষ্ণ মিশন অভিসিঞ্চিত করে চলেছে অসংখ্য পড়ুয়াকে। দীর্ঘ দিন ধরে একের পর এক কৃতি ছাত্র এখান থেকে বেরিয়েছে। স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শ, তাঁর চিন্তাভাবনা আর তাঁর অমৃতময় বাণীকে পাথেয় করে চলা সরিষা রামকৃষ্ণ মিশন আজ সমাজের কাছে এক অতি বিশিষ্ট প্রতিষ্ঠান।
সরিষা রামকৃষ্ণ মিশন শিক্ষা মন্দির এখন উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত উন্নীত। প্রায় ১২০০ ছাত্র এই প্রতিষ্ঠানে এখন পড়াশোনা করছে। এখানে যে হস্টেল আছে সেখানে ১৭০ জন ছাত্র রয়েছে। মিশনের সঙ্গে রয়েছে বিশাল খেলার মাঠ। সেখানে নিয়মিত ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল খেলা হয়। ডায়মন্ড হারবার সাব ডিভিশনের অন্যতম সেরা স্কুল এই সরিষার শিক্ষা মন্দির। এখানে একটি গার্লস স্কুলও আছে-- পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি। সেটিরও পড়াশোনা খুব উন্নত মানের।
শিক্ষা মানুষকে জ্ঞানের আলোর দিকে নিয়ে যায়। শিক্ষিত মানুষেরা সমাজে সৌহার্দ্য ও শান্তি বজায় রাখেন। সরিষা রামকৃষ্ণ মিশন এমন এক প্রতিষ্ঠান, যেখান থেকে এক একটা জ্ঞানের বার্তা চলে যায় সমাজের কাছে। সরিষা রামকৃষ্ণ মিশনের ১০০ বছর পূর্ণ উপলক্ষে এ কথা জানালেন স্বামী দীপ্তেশানন্দ মহারাজ।