নিজস্ব প্রতিবেদন : সোমবার ভর দুপুরে টিটাগড়ের মুচিপাড়ায় তালপুকুরে নির্মিয়মান কালী মণ্ডপের সামনে গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু হয়েছে বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে। রাত্রে আট ঘন্টার অস্ত্রোপচারের পরেও সতীশ মিশ্রের দেহ থেকে বুলেট বের করা সম্ভব হয়নি। বন্ধ হয়নি রক্তক্ষরণও।পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করেও বাঁচানো গেল না সতীশকে। অসমর্থিত সূত্রের খবর মঙ্গলবার ভোরেই মৃত্যু হয়েছে সতীশের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার টিটাগড়ের মুচিপাড়া তালপুকুরে স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ক্লাবের নির্মিয়মান কালী মণ্ডপের সামনে বসে ছিলেন সতীশ মিশ্র নামে ২২ বছরের এক যুবক। সেই সময় ২ দুষ্কৃতী হেঁটে এসে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত সতীশকে প্রথমে ব্যারাকপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকেই কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার টিটাগড়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। উত্তেজনা প্রশমনে ময়দানে নামে RAF ও কমব্যাট ফোর্স। স্থানীয় বিধায়কের দাবি, কাউন্সিলরকে না পেয়ে ওই যুবককে গুলি করেছে দুষ্কৃতীরা।


আরও পড়ুন -‘রাস্তায় পাঁচিল তুলে বিজেপির রথ আটকাবে সিপিএম’


ঘটনায় কালা মুন্না ও ভোলা প্রসাদ নামে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিস। তবে টিটাগড় গুলিকাণ্ডে ধোঁয়াশা এখনও অব্যাহত। কেন হামলা? ক্লু পেতে ধৃত দুজনকেই জেরা করছে পুলিস। ধৃত কালা ও ভোলাকে রাতভর জেরা করা হয়েছে। সারারাত তল্লাসি চালানোর পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিস। এদিকে সতীশের মৃত্যুর খবরে এলাকায় যাতে নতুন করে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তাই বারাকপুর কমিশনারেটের তরফে কমব্যাট ফোর্স নামানো হয়েছে। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিরাট পুলিস বাহিনী। গোটা এলাকাই এখনও থমথমে। ধৃত কালা ও ভোলাকে আজই আদালতে তোলা হবে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়ে গিয়েছে। একালায় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত ছিলেন সতীশ। সেই জন্যই কি তাঁকে গুলিবিদ্ধ হতে হল? উঠছে প্রশ্ন।