Ghatal Teacher Strike: ডিএ-র দাবিতে কর্মবিরতিতে গিয়ে বিপাকে শিক্ষকরা, প্রধানের `শাসানি`, স্কুল গেটে পড়ল তালা
সৌমেন মণ্ডল নামে এক যুবক বলেন, এই স্কুলেই পড়াশোনা করেছি। হঠাত্ শুনলাম স্কুলে কেউ তালা দিয়ে চলে গিয়েছে। খবর পেয়ে আমরা ছুটে এসেছি। স্যাররা বললেন গত ২ দিন ধরেই তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে স্থানীয় পঞ্চায়তে প্রধান এসে হুমকি দিয়ে গিয়েছিলেন দেখে নেব, স্কুলে তালা দিয়ে দেব ইত্যাদি
চম্পক দত্ত: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে কর্মবিরতি পালন করতে গিয়ে বিপাকে শিক্ষকরা। প্রথমে স্কুলে গিয়ে প্রধানের শাসানি। পরে স্কুলের গেটে তালা মেরে দিল কেউ বা কারা। শেষপর্যন্ত পুলিস এসে তালা খুলে শিক্ষকদের বের করেন। এনিয়ে স্থানীয় প্রধানের দিকেই উঠছে অভিযোগের আঙুল।
আরও পড়ুন-আদানির ভাঁড়ার থেকে উবে গেল বিপুল টাকা, এশিয়ায় ধনী-তালিকায় ফের শীর্ষে মুকেশ আম্বানি
বুধবার ওই ঘটনা ঘটেছে ঘাটালের মনোহরপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিবেকানন্দ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। স্কুলে রয়েছে ১৭৩ জন পড়ুয়া। শিক্ষক-শিক্ষিকা মিলিয়ে রয়েছেন ৬ জন। বুধবার তাঁদের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী টিফিনের পর তাঁরা ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করছিলেন। অভিযোগ, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কর্মবিরতির খবর পেয়ে স্কুলে পৌঁছন পঞ্চায়েত প্রধান জয়দেব দোলই। শিক্ষকদের হুমকিও দেওয়া হয় বলে স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ।
এদিকে, কর্ম বিরতি শেষে শিক্ষকরা বিকেল চারটে নাগাদ যখন বাড়ি ফেরার উদ্যোগ নেন তখনই তারা দেখেন স্কুলের গেটে কেউ তালা লাগিয়ে দিয়েছে। তাদের ছিলেন এক ছাত্রও। সন্ধে পর্য়ন্ত তারা স্কুলের ভেতরেই থাকতে বাধ্য হন। ওই খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলকায় প্রবল হইচই পড়ে যায়। তবে প্রধান জয়দেব দোলই বলেন, তালা আমি দিইনি। এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। তালা দিয়েছে গ্রামবাসীরা। স্কুলে কর্ম বিরতি পালন করার কোনও নিয়ম নেই। ওসব করলে বাইরে চাটাই বিছিয়ে করতে হয়।
এনিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, ডিএর দাবিকে আন্দোলন চলছে। তারই কর্মসূচি হিসেবে আজ ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছিল। তার মধ্যেই এই ঘটনা। প্রসঙ্গত, অন্ধকার হয়ে যাওয়ার পর পুলিসের উপস্থিতিতে স্কুলের গেট থেকে শিক্ষকদের বের করা হয়। তবে স্থানীয় মানুষজন প্রশ্ন তোলেন, করোনার সময় পুলিস ডিউটি করেছে কিন্তু শিক্ষকরা তো স্কুলে আসেনি। তাহলে এই কর্মবিরতি কীসের! আপনারা মাইনে পান না!
স্কুলে তালা দেওয়া নিয়ে স্থানীয় যুবক সৌমেন মণ্ডল নামে এক যুবক বলেন, এই স্কুলেই পড়াশোনা করেছি। হঠাত্ শুনলাম স্কুলে কেউ তালা দিয়ে চলে গিয়েছে। খবর পেয়ে আমরা ছুটে এসেছি। স্যাররা বললেন গত ২ দিন ধরেই তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে স্থানীয় পঞ্চায়তে প্রধান এসে হুমকি দিয়ে গিয়েছিলেন দেখে নেব, স্কুলে তালা দিয়ে দেব ইত্যাদি। স্যার-রা তাঁদের ঘোষিত কর্মসূচি অনুয়ায়ী ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করছিলেন। সেইসময় হঠাত্ করেই বাইরে থেকে কেউ তালা দিয়ে চলে যায়। পুলিস প্রশাসন এসে চাবি খুলে শিক্ষকদের বের করে। প্রধান সাহেব হুমকি দিলেন, কাল থেকে ঠিক সময়ে স্কুলে না এলে দেখে নেব। প্রশাসনের সামনেই হুমকি দেওয়া হল।