সন্দীপ ঘোষ চৌধুরী: স্কুল আছে। শিক্ষকও আছেন। নেই শুধু স্কুলের পড়ুয়া। পড়ুয়া শূন্য এই স্কুলে নিয়ম মেনে স্কুলেও আসেন শিক্ষকরা। নিয়ম মাফিক স্কুলের গেট খোলা হয় তবে শোনা যায় না ঘন্টার শব্দ, পড়ুয়াদের কোলাহল, পড়ার আওয়াজ। ধুলো পড়ছে ব্লাকবোর্ড থেকে পড়ুয়াদের বেঞ্চে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-স্কুলে নেই শিক্ষক, ফাঁকা ক্লাসরুমে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণ একদল যুবকের!


পূর্ববর্ধমানে কাটোয়া মহুকুমার কেতুগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের গঙ্গাটিকুড়ি জুনিয়র হাইস্কুলে এই অবস্থা চলছে বহু দিন ধরে। স্কুলের দুই জন শিক্ষক নিয়ম করে রোজ আসেন। স্কুল খুলে অফিস রুমে বসে গল্প গুজব করেন, টিফিন খান তারপর যথা সময়ে স্কুল বন্ধ করে চলে যান।


২০১৩ সালে কেতুগ্রামের গঙ্গাটিকুরির মতো জনবহুল এলাকায় শিক্ষার প্রসারের উদ্দেশ্যে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের জন্য এই স্কুলের অনুমোদন দিয়েছিলেন রাজ্য সরকার। প্রায় ৩ কাঠা জমির উপর তিনটি শ্রেণিকক্ষ, অফিস ঘর, মিড ডে মিল রান্নার জায়গা-সহ স্কুলভবন নির্মাণ করা হয়। স্কুলের দায়িত্বে রয়েছেন রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, নুরুল আমিন। দুজনই অবসরপ্রাপ্ত অতিথি শিক্ষক। এই স্কুল শতাধিক পড়ুয়া নিয়ে শুরু হলেও এবছর খাতায় কলমে একজন পড়ুয়ার নাম থাকলেও স্কুলে কোনও পড়ুয়াও আসে না।


কেন স্কুলের ধার মাড়ায় না পড়ুয়ারা? গ্রামবাসীদের কথায় দুই জন গেস্ট টিচার স্কুলের দায়িত্বে রয়েছেন। কোনও স্থায়ী শিক্ষক নেই এই স্কুলে। পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় পড়ুয়াদের লেখাপড়া ঠিক মতই হয় না। সেই কারণেই এই স্কুলে কোনও পড়ুয়াকে ভর্তি করেন না অভিভাবকরা। স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক জানান, খাতায় কলমে এক জন পড়ুয়া থাকলেও বর্তমানে কোনও পড়ুয়া স্কুলে আসে না। সম্ভবত সঠিক পরিকাঠামো না থাকার কারণেই স্কুলের এই হাল।


কেতুগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের বিডিও অমিত সাউ জানান, দুই জন গেস্ট টিচার এই স্কুল চালান, কোনও স্থায়ী শিক্ষক না থাকায় অভিভাবকরা তাদের ছেলে মেয়েদের এই স্কুলে ভর্তি করতে চাইছেন না। এমনটাই জানতে পেরেছি। ফলে স্থায়ী শিক্ষক না থাকায় পড়ুয়া অভাবে ধুঁকছে কেতুগ্রামের গঙ্গাটিকুড়ি জুনিয়র হাই স্কুল।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)